“আমি বৈবাহিক ধ র্ষণের শিকার হচ্ছি”, পরাগের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ শিমুলের
জি বাংলার বেশ জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো কার কাছে কই মনের কথা। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী শিমুলের বিয়ে হয়, এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির একমাত্র ননদ ছাড়া কারো সাথে সেভাবে বনিবনা না হলেও, বর্তমানে শাশুড়ি মায়ের নয়নের মনি শিমুল। তবে স্বামীর সঙ্গে বিন্দুমাত্র মিল নেই শিমুলের। পরিবর্তে প্রতি রাতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হচ্ছে তাকে।
শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক ছাড়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আর কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না এমনটাই বিশ্বাস করে স্কুলের শিক্ষক পরাগ। পরাগের বাবা যেভাবে তার মায়ের উপরে অত্যাচার করেছে ঠিক সেই ভাবেই শিমুলের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সে। অত্যাচারের শিকার হয়ে এবার স্বামীর বিরুদ্ধে মুখ খুলল শিমুল। প্রতি রাতে মানসিক আর শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন ধরে ননদের ঘরে ঘুমাতো সে। কিন্তু শাশুড়ির অনুরোধে রাত্রিবেলা স্বামী পরাগের ঘরে গিয়ে আবারো অত্যাচারিত শিমুল।
রাত্রিবেলা শিমুল ঘরে এলেই তার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় পরাগ। শিমুল তাতে রাজি না হলে পরাগ শিমুলকে জোর ঠেলে ফেলে দেয়। খাটের কোনায় লেগে মাথা ফেটে যায় শিমুলের। এরপর শিমুল সিদ্ধান্ত নেয়, আর সে পরাগের সঙ্গে থাকবে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শিমুল এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে।
এবার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে হাজির হলো শিমুল। পুলিশের কাছে গিয়ে সে জানিয়ে দেয় যে প্রতি রাতে বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাকে। কিন্তু দিনের পর দিন এই অকথ্য অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছে না সে। সেই কারণেই পুলিশের কাছে এসে নালিশ জানিয়েছে শিমুল। তবে কি এবার জেলে যাবে পরাগ? জানতে হলে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে চোখ রাখতে হবে।