ভানু বন্দোপাধ্যায় এর ১০১ তম জন্মদিনে তার স্মৃতিচারণে ভাসলেন তার পুত্র গৌতম বন্দোপাধ্যায় এবং মেয়ে বাসবী ঘটক, উঠে এলো অনেক নতুন অজানা তথ্য
বাঙালির কাছে ভানু বন্দোপাধ্যায় শুধুমাত্র একটি নাম নয় এটি আবেগ। আজও সিনেমাপ্রেমীদের মুখে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোরাফেরা করে। আমরা যাকে ভানু বন্দোপাধ্যায় বলেই চিনি তাঁর আর এক নাম হল সাম্যময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনকার দিনে টেলিভিশনে সাদাকালো ছবিতে ভানু বন্দোপাধ্যায় হয়েছিলেন মানুষের কাছে হাস্যরসের প্রতীক। তার প্রতিটি সংলাপ প্রতিটি কথা আজও মানুষের কানে ভাসে। আজও তিনি মানুষের কাছে ১০১। ১৯৩০ সালে ঠিক এই দিনটিতেই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয় বাংলাদেশের ঢাকার বিক্রমপুরে।
তখনকার দিনে ও সাদাকালো পর্দাতে দেখলে বোঝার উপায় থাকবেনা কৌতুক হাস্যরস মানুষটার পেছনে আসলে গুরুগম্ভীর ভয়ঙ্কর মানুষ রয়েছেন। তার ১০১ তম জন্মদিনে স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর পুত্র গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়ে বাসবী ঘটক।
তার ছেলের কথায় ” বাবা কি আমরা বাড়িতে খুব কম সময় দেখতে পেতাম খুব কম সময়ই আমাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন বাবা এমনকি আমরা ভাইবোনেরা কোন ক্লাসে পড়ছে কি নিয়ে পড়ছি আমাদের বয়স কতো সেই অবস্থা খেয়ালও বাবা রাখতেন না। আজকাল অনেক নামীদামী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছেলেমেয়েরাও সিনেমার জগতে এসেছেন, কিন্তু আমাদের সময়ে এই নিয়ম ছিল না বাবা খুব কড়া মানুষ ছিলেন, তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন “ভানু বন্দোপাধ্যায় ছেলে হয়েছে তো কি যদি নিজে পরিশ্রম করে কিছু করতে পারো তবেই করবে না হলে ভানু বন্দোপাধ্যায় ছেলে বলে রেহাই পাবে না”। বাবা অন্যায় আবদার কোনোদিনও প্রশ্রয় দেননি। বাবার নাম, খেতি কোনদিন আমাদের স্পর্শ করতে দেননি তিনি বলেছেন তিনি বাংলাদেশ থেকে কিভাবে এদেশে এসে নিজের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।
মেয়ে বাসবী ঘটক ও সেইদিন বাবার স্মৃতিতে ভাসলেন। উনি বলেন “প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবারে যেরকম হয় শাসন, আদর্শ আদরে আবদারে পরিপূর্ণ আমার বাবাও ঠিক তেমনি ছিলেন। খুব ভালোবাসতেন আমায়। বাবা অভিনয় জগতে প্রবেশ করার আগে বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দীনেন গুপ্তের সঙ্গে তাকে হামেশাই দেখা যেত। একজন আদর্শ পিতার ঠিক যেমন হওয়া উচিত আমার বাবাও ঠিক তেমনি ছিলেন। বাবা অভিনয়জগতে না আসলেও কোনো না কোনোভাবে ঠিক নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে যেতেন”।