“তোকে ছাড়া আমি বাড়ি ফিরব কি করে!” – নিজের প্রিয় বান্ধবীর পরে এবার আরো একজন কাছের মানুষকে হারালেন অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল
ছোট পর্দার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক করেছেন এই অভিনেত্রী। তবে ছোটপর্দায় সব থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কোজাগরী মা লক্ষ্মীর চরিত্রে। একটা সময় এমন ছিল যে মা লক্ষ্মীর ছবি কল্পনা করলে প্রত্যুষার মুখ দেখতে পেয়েছেন দর্শক। কিন্তু যখন কোন মানুষের খুব কাছের কেউ চলে যায় সেই ব্যথা বা সেই দুঃখ অন্য কোন কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। অন্য কোন ভালোবাসা ভুলিয়ে দিতে পারবে না সেই ব্যথা।
এই কয়েক মাস আগেই অভিনেত্রী প্রত্যুষা পালের প্রিয় বান্ধবী অভিনেত্রী পল্লবী দে আত্মহত্যা করেন। এই অভিনেত্রীও ছিলেন ছোটপর্দার বেশ জনপ্রিয় মুখ। তাই তাঁর আত্মহত্যায় বেশ খানিকটা জল ঘোলা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর কেউ এ বিষয়ে কথা বলে না। কিন্তু যার হারিয়েছে তাঁর তো হারিয়েছে। প্রিয় বান্ধবীকে হারিয়ে দুঃখে কষ্টে ভেঙে গিয়েছিলেন প্রত্যুষা। আবার অভিনেত্রী হারালেন তাঁর জীবনের আরও একজন প্রিয় কে।
সম্প্রতি কোন ধারাবাহিকে কাজ করতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রী এখন ব্যস্ত রয়েছেন বিজ্ঞাপনের কাজ করতে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। আবার ইউটিউবে তাঁর নিজের একটি চ্যানেলেও আছে। সেখানে তিনি নানান ছোট-বড় ভ্লগ বানিয়ে পোস্ট করেন। সেই চ্যানেলেও তাঁর বেশ ভালই সাবস্ক্রাইবার আছে।
আর যারা যারা অভিনেত্রীকে ফলো করেন তারা জানবেন যে অভিনেত্রীর একটি পোষ্য আছে। তাঁর নাম কিটো। সে আর নেই। মাত্র কিছুক্ষণ আগেই জানা গেল যে অভিনেত্রী তাঁর সবচেয়ে প্রিয় কাছেরজনকে হারিয়েছেন। তাঁকে হারিয়ে দুঃখে ভেঙে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ আগেই তাঁকে নিজের হাতে কবর দিয়ে এসেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিনেত্রী লিখেছেন দিদির বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় কিটো বেলকানিতে অপেক্ষা করতো। কিন্তু এবার তাঁকে ছাড়া বাড়ি ফেরাটা ভীষণ দুষ্কর হবে অভিনেত্রীর জন্য।
গতকালের প্রত্যুষা জরুরী কালীন ভিত্তিতে একজন ভেটেনারি ডক্টর এর যোগাযোগ চেয়ে পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর আজকেই এই খবরে কষ্ট পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। যাদের বাড়িতে একটি পোষ্য থাকে তারা জানবেন সেই পশুরা শুধুমাত্র আর একটি প্রাণী হয়ে থেকে যায় না তারা হয়ে ওঠে বাড়ির এক সদস্য। আর তাদেরকে হারিয়ে যে কষ্ট যে ব্যথা তা বোধহয় কোন কিছু দিয়েই ভুলানো সম্ভব নয়। কিটোর বয়স হয়েছিল ১৪ বছর। মূলত বয়সজনিত কারণেই হয়তো কিটো তার দিদিকে ছেড়ে পাড়ি দিলেন তারাদের দেশে।
View this post on Instagram