‘না আছে সুর না আছে কণ্ঠ, গানের সব উদ্ধার করে দিল’! অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুর সঙ্গে সরাসরি তুলনা করা হলো অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের, মিঠাই ভক্তরা রেগে আগুন
বর্তমানে ধারাবাহিক দেখার ঝোঁক দিনে দিনে মানুষের মধ্যে বাড়ছে প্রত্যেকেই ধারাবাহিক প্রেমী হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। বিশেষ করে লকডাউন এর সময় বাড়িতে থেকে যখন মানুষ যখন বোর হচ্ছিল তখনই ধারাবাহিক দেখার প্রতি একটা ঝোঁক তৈরি হয় সকলের মধ্যে। আর এই ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দিনে দিনে প্রত্যেকের ঘরের মানুষ হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে। প্রত্যেকেই সেই ধারাবাহিকের চরিত্রটিকে এতটাই ভালোবাসা দেন যে তাদের নামে কোন রকম নিন্দাই দর্শকেরা সহ্য করতে পারে না। এমনটাই ঘটল বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাইয়ের অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডুর সঙ্গে।
আসলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝেমধ্যেই ধারাবাহিকের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন স্টেজ শো করতে হয়। যার কারণে সেখানে গিয়ে তাদের গান গাইতে হয় দর্শকদের অনুরোধে। তাদের দেখার জন্য সেই প্রোগ্রাম গুলিতে উপচে পরে দর্শকের ভিড় এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন দর্শক অনুরোধ করে বিভিন্ন গান গাওয়ার জন্য। দর্শকদের সেই অনুরোধ রাখতেই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা গান করেন। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী গান জানেন না কিন্তু তাও দর্শকদের ভালোবাসায় তাদের অনুরোধ রাখতেই শুধুমাত্র গান করেন।
সম্প্রতি কয়েকদিন আগে অভিনেত্রী সৌমিতৃষা এক জায়গায় স্টেজ পারফরম্যান্স করতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে উপস্থিত এক দর্শকের অনুরোধে ডন ছবির জনপ্রিয় গান ‘ইয়ে মেরা দিল পেয়ার কা দিবানা’ গানটি গাইতে বলা হয়ে তাকে এবং সৌমিতৃষা চেষ্টা করে সে গানটি গাওয়ার। তারপর যথারীতি অভিনেত্রীর গানের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবারে ভাইরাল ওই ভিডিওটি ঘিরে তৈরি হয় কটাক্ষ, সমালোচনা, ট্রল। অনেকেই দাবি করে অভিনেত্রীর গলা এত টুকু সুর নেই কিন্তু গান গেয়ে যাচ্ছেন। একদম ভালো লাগছে না শুনতে। এর থেকে গান না গাইতেই হতে পারেন তিনি। অনেক নেটিজেনরা তো আবার অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের সঙ্গে মিঠাই এর তুলনা করেছে।
আর মিঠাই ভক্তরাও এই সমস্ত ট্রোল সমালোচনা দেখে চুপ থাকেন নি। তারাও পাল্টা জবাব দিয়েছে। তারা বলেন সৌমিতৃষা কখনোই নিজেকে গায়িকা বলে দাবি করেনি। আর গায়িকা না হওয়া সত্ত্বেও যথেষ্ট ভালো গেয়েছেন তিনি। এর আগেও সৌমিতৃষার সঙ্গে অভিনেত্রী মানালি দে তুলনা করা হয়েছিল। তখন ও বেশ একটা দ্বন্দ্ব লেগেছিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে।