“মুক্তি দিয়েছে না মেরে দিয়েছে?”, মেয়েকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অহনার মা চাঁদনী
স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকের মিশকাকে চেনেন না এমন দর্শক নেই বললেই চলে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। যার মনে কিনা একটুও দয়া মায়া নেই কারোর জন্যই।
ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করে তখনই সার্থকতা অর্জন করা যায়, যখন সেই চরিত্র দেখে আর পাঁচটা মানুষ গালাগালি করে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন পর্দার “মিশকা” অহনা দত্ত। নিখুঁত অভিনয় দক্ষতা মুগ্ধ করেছে সকলকে।
পর্দায় ভিলেন চরিত্র হিসেবে অভিনয় করলেও কিন্তু, বাস্তবে খুবই হাসিখুশি মেয়ে অহনা। যদিও মায়ের চোখে এই মেয়ে কিন্তু ভিলেন। অনুরাগের ছোঁয়া সিরিয়ালেরই মেকআপ আর্টিস্ট দীপঙ্কর দে’ র সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন অহনা। তাঁদের এই সম্পর্কে সায় নেই মা চাঁদনী গাঙ্গুলির। তাই দীর্ঘদিন ধরে আলাদা রয়েছে মা আর মেয়ে।
View this post on Instagram
জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ড্যান্স বাংলা ড্যান্সের মধ্য দিয়ে টেলিভিশনের দুনিয়ায় পা রাখেন অহনা দত্ত। সেই সময় তাঁর একমাত্র সঙ্গী ছিল তাঁর মা চাঁদনী গাঙ্গুলী। শিশুশিল্পী হিসাবে মায়ের সাথেই পারফর্ম করে রীতিমত নজর কেড়েছেন তিনি। এরপর আসে অভিনয় করার সুযোগ। অনুরাগের ছোঁয়াতে অভিনয়ের সুযোগ পান অহনা।
সেখানেই সেলিব্রিটিদের মেকাপ আর্টিস্ট দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আগেও বিয়ে ছিল দীপঙ্করের। সেটা মানতে পারেননি অহনার মা।
সম্প্রতি ছিল অহনা ও দীপঙ্করের প্রেমের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একই ছবি পোস্ট করে অহনা লেখেন, “তুমি আর তোমার এই পাগলামি ছাড়া যেন কোনোদিন বাঁচতে না হয়ে ।
তোমার পাগলামি তে যেন আমিও পাগল হয়ে যাই এই আশা করি”। তবে মায়ের থেকে আলাদা থাকার প্রসঙ্গে অহনা বলেন, “আমার মনে হয় মা নিজের বন্ধুদের নিয়ে এভাবেই জীবনটা উপভোগ করতে চেয়েছিলেন। তাই আমি মাকে মুক্ত করে দিয়েছি”।
আরও পড়ুন : বাদাম কাকুর গার্লফ্রেন্ডকে চেনেন? নতুন বছরে বাদাম কাকুর কামব্যাক দেখেলে অবাক হবেন আপনিও
মেয়ের কথা মানেননি মা চাঁদনী গাঙ্গুলী। তিনি বলেন, “মা-কে মুক্তি দিয়েছে না মেরে দিয়েছে। ২০১২ সালে ওর বাবার থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে ওই আমার সব ছিল। আমার মা-বাবা নিজেদের ব্যবসা পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছিল। আর এখন বলছে, বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে চাইতাম আমি? আগে তো এমন প্রয়োজন আমার ছিল না!
মেয়েকে ঘিরেই ছিল আমার সমস্ত স্বপ্ন”। সব শেষে তিনি জানান,” এই বছরের জানুয়ারি থেকে আমি বিশ্বাস করি আমার কোনো মেয়েই ছিল না”।