মিঠাই এর সিদ্ধার্থের ওপর নজর দিচ্ছে সকল মেয়েরা, হিংসায় তেলেবেগুনে জ্বলে লঙ্কা পোড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মিঠাই
মোদক বাড়িতে এবারে প্রথম দুর্গাপুজো, আর দুর্গা পুজোতে মোদক বাড়িতে কোনো বিশেষ চমক থাকবে না তা তো হতেই পারে না। হ্যাঁ, বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাইয়ের কথাই বলা হচ্ছে এখানে। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মিঠাই। প্রতিদিন রাত আটটায় সকল দর্শকেরাই তাদের প্রিয় ধারাবাহিক দেখার জন্য টেলিভিশনের সামনে হাজির হন। বর্তমানে এই ধারাবাহিকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ পর্ব দেখানো হচ্ছে। আর প্রতিটি এপিসোডে থাকছেন নিত্যনতুন চমক।
যেমন কয়েকদিন আগের এপিসোড দেখানো হয়েছিল মিঠাইরানী তার বুদ্ধিতে এবারে তার উচ্ছেবাবুকে ধুতি-পাঞ্জাবি পড়াতে সক্ষম হয়েছে। ধুতি পাঞ্জাবি পরে সিদ্ধার্থকে একেবারে সাক্ষাৎত কার্তিক ঠাকুর লাগছে, চোখ সরানো যাচ্ছে না তার দিক থেকে। বাড়ির লোক তো বটেই বাইরের লোকেরা সিদ্ধার্থকে দেখে রীতিমতো চমকে উঠছে আর সিদ্ধার্থের এই অসাধারণ বাঙালি লোকে ফিদা হয়েছে বহু মহিলারাও।
ঐদিন ধারাবাহিকের পর্বে দেখানো হয়েছে মিঠাই কে সিদ্ধেশ্বর মোদক এর মিষ্টির দোকান থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দোকানের সামনে হাজির হয়েছিল সিদ্ধার্থ। আর ঠিক তখনই সিদ্ধার্থের ধুতি-পাঞ্জাবি পড়া লুক দেখে ফিদা হয়ে যায় অসংখ্য মেয়ে। তার সামনে জমতে থাকে মেয়েদের ভিড়, এই দেখে মিঠাই রানী একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে, তার জ্যান্ত কার্তিক ঠাকুর কে মেয়েরা ঘিরে ধরেছে তাই দেখে আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না সে। সেই দেখেই মেয়েদের মাঝে কে হাজির হয় মিঠাই এবং সকলকে উচিত জবাব দেয়।
ভিড়ের মাঝে এসে মিঠাই সকলের ভুল ভাঙ্গিয়ে দেয় এবং সকলকে জানাই সিদ্ধার্থ বিবাহিত, মিঠাই হলো তার স্ত্রী। আর অন্যদিকে ঠিক সেইসময় সোম এর সঙ্গে হাজির ওই ঘটনাস্থলে তোর্সা হাজির হয় এবং সিদ্ধার্থ কে নিয়ে মজা করতে থাকে। তোর্সা মিঠাই কে বলে এতই যখন ভয় বরকে নিয়ে তা হলে যেন সে নিজের বরকে ঘরবন্দি করে রাখে।
মিঠাইও চুপ করে থাকার পাত্রী নয়। তোর্সার এই কথার জবাব সে দেয়, সে বলে ঘরে যদি বন্দী করে রাখি তাহলেও তো বাইরের লোক ঘরে এসে নজর দিতে পারে। তার থেকে ভালো উপায় হল নজর কাটানোর জন্য লঙ্কা পোড়া দেওয়া উচিত। কারন আজকাল বড্ড বেশি নজর লেগে যাচ্ছে তার উচ্ছেবাবুর উপরে।