‘রাস্তায় দাঁড়িয়ে চপ বিক্রি করতে লজ্জা পাইনা, দরকার হলে রাস্তায় আলু-পটল বেচব’, লক্ষ্মী কাকিমার সঙ্গে নিজের জীবনের অনেকটা অংশের মিল খুঁজে পান অপরাজিতা আঢ্য
দীর্ঘ কয়েকবছর পর আবার টেলিভিশনের ছোটো পর্দায় ফিরলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার এর হাত ধরে কামব্যাক করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে শেষ টেলিভিশনের কাজ করেন তিনি। ছোট পর্দার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ তিনি। কারণ ছোটো পর্দার হাত ধরেই তিনি নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছেন। ফিল্ম তার কাছে অন্যরকম ভালোলাগা, অন্যরকম অভিজ্ঞতা।
অপরাজিতা মনে করেন ধারাবাহিকে অভিনয় করলে একটা চর্চার মধ্যে থাকা যায়। তবে মাঝে মাঝে এক ঘেঁয়েও লাগে। ফিল্ম এর ক্ষেত্রে সেটা আলাদা। তবে দুই জায়গা তেই নিজেকে মানিয়ে নেন অভিনেত্রী। মাঝে কোভিড এর কারণে বিরতি নিয়েছিলেন। তখন তাকে নন ফিকশন শো করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই সময় দর্শকেরা তাকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে চেয়েছেন তাই আবারও সেই জায়গায় ফিরে এসেছেন তিনি।
View this post on Instagram
অপরাজিতা নিজের জীবনের আইডল মনে করেন তার দিদিমা কে। তার দিদিমার জীবনের সমস্ত স্ট্রাগল দেখেছেন তিনি। তিনি দেখেছেন কি করে তার দিদিমা কঠিন সময় নিজেকে ধরে রেখেছেন। আর অভিনেত্রী মনে করেন যে নিজের জীবনের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে সেই আসল স্টার। ছোটবেলায় পাড়ার বিশ্বনাথ দার দোকানে চানাচুর খেতে যেতেন তিনি এখনো সেই কথা মনে পড়লে হাসি পায়।
বাবার মৃত্যুর পরে মাকে সাহায্য করার জন্য নিজেও স্টেশনারি দোকান খুলে ছিলেন অভিনেত্রী। নিজেই বড়বাজার থেকে মাল নিয়ে আসতেন। কিন্তু তার পর পরই তার বিয়ে হয়ে যায়। তাই লক্ষ্মী কাকিমার চরিত্র তার চেনা। বরাবরই নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে চেয়েছেন অপরাজিতা। তার জন্য তিনি আলু-পটল বেচতেও রাজি ছিলেন , মুদির দোকান বা স্টেশনারি দোকান দেবেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চপ বিক্রি করবেন তাও নিজের প্রচেষ্টাতেই কিছু করার ইচ্ছে ছিল প্রথম থেকে। কোন কাজই তার কাছে ছোট না, সৎ ভাবে করতে পারলে সব কাজই সম্মানের এটাই মনে করেন অপরাজিতা আঢ্য।