‘এই মেয়ের ঢং দেখে আর বাঁচি না’, সামাজিক মাধ্যমে কটূক্তির শিকার সুপারহিট অপরাজিতা অপুর সুস্মিতা দে
অপরাজিতা অপু ধারাবাহিকের সুস্মিতা দে বর্তমানে সামাজিক কটূক্তির শিকার হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে নানা রকম কটাক্ষ করা হয়ে থাকে। কখনো তাদের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আবার কখনো বডি পার্টস থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আক্রমণ পর্যন্ত চলে কটাক্ষ। এবারে দেখা গেল অভিনেত্রী সুস্মিতা দে এর অভিনয়ের এক দৃশ্য নিয়ে নেট মাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কিছুদিন হাওয়া বদল করতে অপুর শশুর বাড়ির সকালে বেরিয়ে পড়েছেন ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্যে। ছুটি কাটানোর জন্য তারা বেছে নিয়েছেন গ্রামের বাড়িকে। বেলঘড়িয়ার এক রাজবাড়ীতে শুটিং হয়েছে। সেখানেই দেখানো হয়েছে গ্রামের বাড়ির দৃশ্য। গ্রামের বাড়ি সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে সবুজ সতেজ নিঃশ্বাস নিয়ে আবার নতুন করে বাঁচার কারণ খুঁজে পেয়েছেন সবাই। গ্রামের বাড়ি রামধনু এখন তার ধানিলঙ্কাকে চোখে হারায়। অপু তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে জয় করেছে রামধনুর মন।
বিয়ের পর থেকে আন্টি ওয়ান অর্থাৎ অপুর শাশুড়ি মা সহ্য করতে না পারলেও নিজের কার্যকলাপের দরুন জয় করে নিয়েছে আন্টি ওয়ানের মন ও। তবে আন্টি টুয়ের দুষ্টুমি বুদ্ধি এখনো মাথা থেকে যায়নি। নানা কার্যকলাপের দরুন অপুকে বারবার ছোট করতে চেয়েছে আন্টি ওয়ানের চোখে। কখনো এডমিট কার্ড জাল করে আবার কখনো পূজার ভোগ নষ্ট করে দিয়ে অপুকে ছোট করার চেষ্টা। তবে এবার ও বুকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছেন আন্টি ২ এবং তার ছেলে নীলু।
নীলু দেশের বাড়ি বিগ্রহের থেকে সোনার গয়না চুরি করলে তা সবটা ক্যামেরাবন্দি করে অপু। বাড়ির সবার সামনে সবটা দেখিয়ে দেয়। এইজন্য বেজায় চটেছে নিলু এবং আন্টি ২। নিলু পুজোর দিন জলে পড়ার নাটক করলে অপু তাকে বাঁচাতে যায়। বাঁচাতে গিয়ে অপু নিজে জলে পড়ে যায়। সেই দেখে নিল সেখান থেকে পালিয়ে আসে। এই জলে পড়ার দৃশ্য নিয়েই শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে লাগাতার কটুক্তি।
হাঁটু সমান জলে বসে অপু এমন অভিনয় করেছে যাতে দশকের দেখে মনে হয় সে গলা পর্যন্ত জলে ডুবে গেছে। পুকুরের পাড়ে হাত দিয়ে ওপরেই নাটক একদমই স্বাভাবিক চোখে মেনে নিতে পারেননি দর্শক। চিত্রনাট্যকার এর সাথে সাথে ডিরেক্টরদের ও নানারকম কটাক্ষ্য করা হয়েছে। কিছু কিছু নেট নাগরিকদের বক্তব্য সুস্মিতা দের অভিনয় দেখলে তারা আর প্রানে বাঁচেনা। এখানেই শেষ নয় অনেকে আবার লিখেছেন এই মেয়ের ঢং দেখলে আর পারা যায় না। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই হেসেছেন এই বলেও জানিয়েছেন তারা।