রোহিণীর সমস্ত কারসাজি ধরে ফেললো অরিন্দম, রোহিনী-ই ফাঁসিয়েছে নোলক-কে, প্রমাণ করে দিলো অরিন্দম
বর্তমানে জমজমাট স্টার জলসার ‘গোধূলি আলাপ’ ধারাবাহিক। প্রথমে ধারাবাহিকের গল্প শুনে দর্শকরা এই ধারাবাহিকে সমর্থন করেনি। কিন্তু আস্তে আস্তে ধারাবাহিকটি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং অরিন্দম ও নোলকের অসমবয়সী প্রেমের গল্প ধীরে ধীরে দর্শকদের ড্রইং রুমে জায়গা করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিক একেবারেই ভিন্ন স্বাদের একটি গল্প নিয়ে তৈরি। শহরের সব থেকে নামি উকিল অরিন্দম এর সঙ্গে নানান ঘটনা চক্রের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে গ্রামের বহুরূপী মেয়ে নোলকের এবং সেখান থেকেই গল্পের সূত্রপাত।
নিজের হাঁটুর বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করে বাড়িতে আনার পর অরিন্দমের এই সিদ্ধান্তকে কেউই মেনে নিতে পারেনি। পরিবারের কেউ অরিন্দমের বউ হিসেবে স্বীকার করেনি নোলককে। কিন্তু অরিন্দম বরাবরই নোলকের পাশে ছিল। অরিন্দমের বন্ধু রোহিণী কখনো ভালো চোখে দেখেনি নোলককে। বরাবরই অরিন্দম এর পাশের নোলকে দেখে রোহিনী হিংসা করত এবং সবসময় চাইতে অন্য তার ক্ষতি করার এবং সেখান থেকেই একের পর এক প্ল্যান করে নোলককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল রোহিণী।
এমনকি নোলককে জেলে পর্যন্ত পাঠিয়েছিল সে। রোহিনীর চক্রান্তের শিকার হয়ে নোলক নিজেকে কিছুতেই নির্দোষ প্রমাণ করতে পারছিল না। কিন্তু অবশেষে অরিন্দমের চেষ্টাতেই নোলক বিপদ থেকে বেরিয়ে আসে। আর আদালতে কেস জেতার পর অরিন্দম এর কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায় যে এইসব ঘটনার পেছনের মূল মাথা হলো রোহিণী। প্রমাণসহ অরিন্দম সে সমস্ত কিছু জানতে পেয়ে যায়। সম্প্রতি ধারাবাহিকের একটি ভিডিও ক্লিপ স্টার জলসার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজ এ আপলোড করা হয়েছে।
সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে অরিন্দম রোহিণী কে বলছে সে জানতে পেরে গেছে নোলক কে ফাঁসানোর পেছনে আসলে কার হাতে রয়েছে। দোষীরা শাস্তি পেলেও আসল দোষী এখনো জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর এই শুনে ঘাবড়ে যায় রোহিণী। আর সকলের সামনেই অরিন্দম জানিয়ে দেয় যে পুরো ব্যাপারটাই রোহিণীর আগে থেকে প্ল্যান করেছিল নোলককে ফাঁসানোর জন্য অটোওয়ালার হাত দিয়ে টাকা নিয়ে এসে নোলককে রোহিনী পাঠিয়েছিল আদালতে।