ডিভোর্স পেপারে সৃজন সই করতেই তার কেটে গেল পর্ণার! ভয়ে সব সত্যি স্বীকার করলো ইশা
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো “নিম ফুলের মধু”। পর্ণা আর সৃজনের মধ্যে দূরত্ব যেনো মিটছে না। কিন্তু সৃজনকে ছেড়ে আর এই দত্ত বাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি নয় পর্ণা। এবার সৃজন ডিভোর্স পেপারে সই করতেই মাথার তার কেটে গেল পর্ণার। আর তার কেটে গেলে যা ইচ্ছে তাই করে সে।
ওটাই তো ভয় সকলের। ঈশা পর্যন্ত ভয়ে সেঁধিয়ে যায় পর্ণার তার কেটে গেলে। পর্ণার শাশুড়ি থেকে শুরু করে বাড়ির সবাই তটস্থ হয়ে যায়।
এদিকে সৃজন-পর্ণাকে আলাদা করে পর্ণাকে বেশি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য রীতিমত নোংরা উঠে পড়ে লেগেছে ঈশা, মৌমিতা, কৃষ্ণারা। সৃজনের নেশাগ্রস্থ থাকার সুযোগ নিয়ে ইশা বলে, সে নাকি তার সাথে রাত কাটিয়েছে। তাই এবার সৃজন যদি পর্ণাকে ডিভোর্স না দেয়, তাহলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় ইশা।
আরও পড়ুন : “গৌরী এলো” শেষ হতেই বেড়াতে গেলেন মোহনা! কোথায় গেলেন এই অভিনেত্রী?
তবে মুখের কথায় যদি কাজ না হয়? সেই কারণেই নিজেকে শেষ করার মিথ্যে নাটক করে ইশা।
মা, দাদা আর ইশার চেপে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স পেপারে সই করতে বাধ্য হয় সৃজন। এরপর পর্ণা বাড়ি ঢুকতেই ডিভোর্স পেপার তার হাতে ধরিয়ে দেয় কৃষ্ণা। যদিও পর্ণা নিজের স্বামীকে খুব ভালো করে চেনে। তাই সৃজন তাকে ডিভোর্স দিতে পারে, এটা একেবারেই মেনে নিতে পারছে না সে।
পর্ণা জানে, সৃজন যে তাকে ডিভোর্স দেবেন, সেটা আগেই ঠিক করে নিয়েছিল সে। তাহলে এক দিনের মধ্যে কি করে নিজের মত বদল করলো সৃজন? সৃজন যে ডিভোর্স পেপারে সই করেছে সেটা বিশ্বাস করে না পর্ণা। তাই সবটা যে চক্রান্ত, বুঝতে আর বাকি থাকেনা।
আরও পড়ুন : একই দিনে বিয়ে আর রিসেপশন, কি কি রইলো সন্দীপ্তা-সৌম্যর বিয়ের মেন্যুতে? জানুন বিস্তারিত
আসল সত্যিই জানতে ঈশার কাছে যায় পর্ণা। প্রথমে তাকে ভালোভাবে জিজ্ঞাসা করে পুরো ব্যাপারটা জানার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঈশা নিজের নোংরা প্রবৃত্তি থেকে সরতে চায় না।
কথা বলার চেষ্টা করতে শুরু করে সে। তাতেই তার কেটে যায় পর্ণার। ঈশার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে। তবে তাতে লাভ হয়নি। কিন্তু আসল সত্যিটা কিভাবে বের করবে পর্ণা? সেটাই যেনো লাখ টাকার প্রশ্ন।