অষ্টমী শেষ হয়ে গেল অথচ প্রোমোর মূল বিষয় দেখানো হলো না!-কী হলো শেষ পর্বে?
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক অষ্টমী অবশেষে শেষ হল। এই ধারাবাহিকে শেষের দিকে দেখানো হলো যে জয়দেব ঠাকুরকে বন্দী করে রেখেছিল পুরুষোত্তম সিংহ রায়। বৌরানী স্বয়ং অষ্টমীকে ছোট্ট মেয়ের বেশে পথ দেখিয়ে নিয়ে এলো সেই গুপ্ত ঘরে, আর অষ্টমী জয়দেব ঠাকুরকে পথ দেখালো কীভাবে সেই গুপ্ত ঘর থেকে পালানো যায়!
জয়দেব ঠাকুর জানালো এতগুলো বছর ধরে তাকে গুম ঘরে বন্দি করে রেখেছিল পুরুষোত্তম সিংহ রায়। বৌরানীর ভর পুরুষোত্তমের উপর হতো না, হতো জয়দেব ঠাকুরের ওপর!
ভর উঠলে জয়দেব ঠাকুর যা যা বলতেন সেই সকল কথা শুনে মুখস্ত করে পুরুষোত্তম শাড়ি কাপড় পড়ে সকলের সামনে নাটক করে সেই সব কথা বলতেন। অষ্টমী এইসব কথা শুনে অবাক হয়ে গেলেও সে বুঝতে পারে জয়দেব সত্যি কথা বলছে কারণ পুরুষোত্তমের মতো একটা খারাপ লোকের ওপর বউরানী ভর করতে পারে না।
আরও পড়ুন : রানীর প্রাণ সংশয় বুঝে কাছাকাছি এলো দুর্জয় রানী!এইবার হবে ও টিআরপিতে বাজিমাত!
অন্যদিকে জয়দেব ঠাকুর মুক্ত হয়ে গিয়ে বাড়ির সকলের সামনে সব কথা বলে দেয় একই সাথে আরো একটি সত্য প্রকাশিত হয় তা হল জয়দেব ঠাকুরের স্ত্রী গর্ভবতী ছিলো আর বৌরানী বলেছিল যে তাদের মেয়ে ২৩ বছরের পূর্ণ হলেই সেই মেয়ে এই গ্রামে এসে পাপের বিনাশ করবে। তাই জয়দেব ঠাকুর তার গর্ভবতী স্ত্রীকে পালাতে সাহায্য করেন।
এরপর সেই গর্ভবতী স্ত্রী মারা যাওয়ার আগে যে সন্তানের জন্ম দেয় সেই হলো অষ্টমী। অষ্টমীর বাবাও এসে সেই সত্যি কথা স্বীকার করে।
ধারাবাহিকে পুরুষোত্তম সিংহ ঠাকুরের সাজা হয় এবং একটা হ্যাপি এন্ডিং দেখানো হয়, কিন্তু দর্শক একটা আফসোস করতে থাকেন যে ধারাবাহিক টা শেষ হয়ে গেল কিন্তু ধারাবাহিকের গল্পটা অপূর্ণই থেকে গেল! প্রোমোতে যে দেখানো হয়েছিলো, দৃষ্টিহীনতা তার দুর্বলতা না শক্তি- সেই আসল বিষয়টাই ক্লিয়ার করা হলো না।