বুড়ো হাড়ের ভেলকি, কম বয়সী অভিনেতাদের থেকে অনেক বেশি ভালো অ্যাকশন দৃশ্য মাত করছেন কৌশিক সেন! অরিন্দমের মারপিট দেখে হাঁ দর্শক
বাংলা সিনেমার অত্যন্ত পরিচিত এক উজ্জ্বল নক্ষত্র কৌশিক সেন। মৃণাল সেন পরিচালিত চলচ্চিত্র আমার ভুবন চলচ্চিত্রে কর্ম ক্ষমতার জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে বিএফজেএ পুরস্কার জিতেছেন। একাধিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন। বর্তমানে স্টার জলসার গোধুলিওয়ালা ধারাবাহিকে নায়কের ভূমিকায় রয়েছে তিনি।
গোধূলি আলাপ হলো একটি ভারতীয় বাংলা রোমান্টিক ড্রামা টেলিভিশন যা রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশন ব্যানারের। গতবছর ২১ মার্চ থেকে সম্প্রচারিত হচ্ছে স্টার জলসা। একটি ভিন্ন ধারার গল্প সামনে আশাতে বেশ খুশি হয়েছিলেন দর্শক। ধারাবাহিকে কৌশিক সেন(Kaushik Sen) ছাড়াও রয়েছেন সোমু সরকার এবং দিয়া চক্রবর্তী।
এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়েই ১২ বছর পর টেলিভিশনে কাম ব্যাক করেছেন কৌশিক সেন। জুটি বেঁধেছেন নবাগতা সোমু সরকারের সঙ্গে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সোহাগ সেন, রশনি ভট্টাচার্য এবং ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। যেহেতু রাজ চক্রবর্তী প্রযোজনা সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে এই ধারাবাহিক তাই দর্শকরা শুরুর থেকেই বেশ আশা রেখেছিলেন ধারাবাহিককে নিয়ে। এক অসমবয়সী প্রেমের গল্প ফুটে উঠেছে পর্দায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে মাঝ বয়েসী এক এডভোকেট অরিন্দমের বিয়ে হয় বহুরূপী নোলকের সঙ্গে।
এইভাবেই এগোতে থাকে তাদের জীবন। তবে কৌশিক সেনের অভিনয় শুরুর থেকেই দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়। তার প্রত্যেকটি পদক্ষেপ রোমাঞ্চ জায়গায় দর্শকদের মনে। বিশেষ করে অ্যাকশন সিনগুলি দর্শকদের মধ্যে। তার প্রতিভা সবকিছুকে হার মানায়।
কৌশিক সেন প্রমান করে দিয়েছেন এত বয়স হয়ে যাবার পরেও সব ধরনের চরিত্রে তিনি সাবলীল। বিশেষ করে কমবয়সী হিরোদের কাছে কৌশিক সেন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করে। তার অভিনয় বাস্তবসম্মত। যে কারণে দর্শকরা ভীষণভাবে ভালবেসেছেন ধারাবাহিকটি। নেই কোন অতিরঞ্জিত সংলাপ না কোন অতিনাটকীয় অভিব্যক্তি। অভিনেতা সেটাই যেন বাস্তবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সম্প্রতি এক নেটিজেন অরিন্দমের চরিত্রে প্রশংসা করে লিখেছেন,’গোধূলি আলাপের বর্তমান ট্র্যাক তো বটেই, এমনিতেও এই সিরিয়ালের অন্যতম আকর্ষণ হল এই মারপিটের দৃশ্যগুলো। কৌশিক স্যারের অভিনয়, রিভলভার ধরা সবকিছু এতটাই নিঁখুত যে মনে হয় বাস্তবেই ঘটছে। গুন্ডাদের সাথে লড়াই করতে করতে অরিন্দমের ক্লান্ত হওয়া, হাঁপিয়ে ওঠা, কখনো কখনো যন্ত্রনায় ছটফট করা সবকিছু দৃশ্যগুলোকে বাস্তব করে তোলে। সাহসিকতার পাশাপাশি তার চেষ্টা, পরিশ্রম, প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া এগুলো মনে করিয়ে দেয় যে নায়ক হলেও সে মানুষ। অতিরঞ্জিত সংলাপ বা অভিব্যক্তি ছাড়া এমন মারপিটের দৃশ্য বাংলা ফিল্ম ও টেলিভিশন জগতে খুবই বিরল’।