অন্য কিছু নয় স্টার জলসার বালিঝড় এখন দর্শকদের পছন্দের ধারাবাহিক! লীনা পিসি নির্ভেজাল গল্প লিখতে পারে বিশ্বাসই হচ্ছে না দর্শকদের! সৌগুনের পর এবার ঝোড়ার্ঘই পছন্দের জুটি
স্টার জলসা(Star Jalsha)র অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক বালি ঝড়(Balijhor)। প্রথম দিকে জনপ্রিয়তা না পেলেও ধীরে ধীরে এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন জয় করে নিচ্ছে। আবার এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই দর্শকদের পছন্দের জুটি সৌজন্য গুনগুন ফিরে এসেছে। তবে শুরুতে তারা জুটি হিসেবে ফিরবেন না এমনটাই কথা ছিল। কারণ এই ধারাবাহিকে কৌশিক-তৃনার সঙ্গে জুটি বেঁধেছে ইন্দ্রাশিষ রায়। যাকে এর আগে ধুলোকনা ধারাবাহিকে লালন চরিত্রে দেখা গিয়েছিল।
বালিঝড়ের গল্প অনুযায়ী ঝোড়া যার বাবা এক বিখ্যাত পলিটিশিয়ান। সে চায় তার মেয়ের বিয়ে হোক মহার্ঘর সঙ্গে। অথচ ঝোরা ভালবাসে স্রোতকে। এবং তাকেই বিয়ে করতে চায়। যদিও শেষ পর্যন্ত ঝোড়ার বিয়ে হয় মহার্ঘর সঙ্গেই। বিয়ে হলেও ঝোড়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা মহার্ঘকে তার স্বামী হিসেবে।
কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্কের সমীকরণ বদলাচ্ছে। আগে যেমন মহার্ঘকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতো ঝোড়া এখন আর তেমনটা হয় না। বরং মহার্ঘ্য যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন তার সেবা করেছে। এখন তার নিজের বাড়িতেও গেছে। আর সেখানে গিয়ে মহার্ঘর বাবার সঙ্গে আলাদাই সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ঝোড়ার।
তার বাবাও ঝোরাকে নিজের মেয়ে বলেই মেনে নিয়েছে। আর তাদের সম্পর্কটা এত নির্ভেজাল ভাবে দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকে যে দর্শক ভীষণ খুশি। একটা সুন্দর গল্প পেয়েছেন তারা লেনা গাঙ্গুলির হাত ধরে এটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে লেখিকা গুড্ডি এবং এক্কাদোক্কার মতো যেমন গল্প লিখছেন। তেমনি বালিঝড়ের মতো সুন্দর এক পারিবারিক গল্প তুলে ধরছেন তিনি।
আর সেটা অনেক ভক্তই বিশ্বাস করতে পারছেন না। সেই নিয়ে এক ভক্ত লিখেছেন,’অসম্ভব সুন্দর হচ্ছে বালিঝড়…।
লীনাপিসি বর্তমান সময়ে একদিকে যেমন গুড্ডি/এক্কাদোক্কায় পাতে না দেওয়ার মতো গল্প লিখছেন….অপরদিকে তেমন বালিঝড়ের মতো গল্পও লিখছেন।
সৌগুনের মতোই ভীষন কাছের হয়ে উঠছে ঝোড়ার্ঘ্য।
আর মহার্ঘ্যের বাবার চরিত্রে চন্দন স্যার আশায় সিরিয়াল’টা অন্য একটা মাত্রায় পৌঁছে গেছে। চরিত্রের নামগুলো হয়তো পাল্টেছে… কিন্তু শ্বশুর-বৌমা হিসেবপ সেই “গুনগুন-ভজন”ই রয়ে গেছে এখানে।
আর সবচেয়ে বড় কথা বহুদিন পর “বালিঝড়”এর বর্তমান গল্প,চরিত্র,উপস্থাপনা (লাস্ট কয়েকটা এপি থেকে) এগুলোর মধ্যে ম্যাজিক মোমেন্টস্ এর সেই পুরোনো “ইষ্টিকুটুম”,”জলনূপূর” এর একটা Touch খুঁজে পাচ্ছি আমি।
এরমধ্যে একটা ট্যুইস্টও আছে…ঝোড়াদের বাড়িটা আসলে মহার্ঘ্যদেরই। যেটা মহার্ঘ্যের বাবা ছাড়া কেউ জানেনা, মহার্ঘ্যও না স্রোতের চ্যাপ্টারটা বাদ দিয়ে বাকিটা যদি দেখা যায় তাহলে “বালিঝড়”এর গল্পটা ভীষনই সুন্দর,নির্ভেজাল’।