বাংলা সিরিয়াল

বাংলা সিনেমায় তিনি যতটা দক্ষতার সাথে অভিনয় করেন!বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সেভাবে সম্মান দিচ্ছে না! জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দন সেন সম্পর্কে বলছেন দর্শক!

খড়কুটো, আঁচল , ইচ্ছেনদী, ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকে তার প্রতিবাদী সৎ চরিত্র দর্শককে মুগ্ধ করে দেয়। আবার স্টার জলসার সাম্প্রতিককালে শেষ হওয়া জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থৈথৈ ভালোবাসাতে কোজাগরীর স্বামী উদ্যলোক বাবুর ভূমিকায় তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে এবং এই অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন দর্শক বারংবার তার চরিত্র দেখে অভিনয় দেখে

সম্মানে মাথা নুইয়েছেন দর্শক, তার চরিত্র মানে আদর্শ বাবা আদর্শ স্বামী তিনি কখনো অন্যায় করতে পারেন না কিন্তু জল থৈ থৈ ধারাবাহিকে তার চরিত্রে এতোটুকু কালিমালিপ্ত কোন ট্র্যাক এলেই প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন দর্শক, বলেছেন চন্দন বাবুকে এরকম চরিত্রে তারা দেখতে চান না কিছুতেই।

আরও পড়ুন : রানী অষ্টমী কে তাড়িয়েছিলো!অষ্টমী রানী কে তাড়ালো!মাত্র ১১ মাসেই ইতি টানলো তোমাদের রানী!

আসলে এতটাই চন্দন সেন কে ভালবাসেন দর্শক। মারণ রোগ কে তোয়াক্কা করে তার অভিনয় দর্শক মনে দাগ কেটে যায় তাই তো দর্শক চান বারবার নানান রকম প্রজেক্টে তাকে নতুন নতুন চরিত্রে দেখতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন দীর্ঘ পোস্ট করে লিখেছেন যে,“অভিনেতা হিসেবে তিনি কতটা দক্ষ, তা আর নতুন করে বলে দিতে হয় না। নাটকের মঞ্চ, টেলিভিশন বা বড় পর্দা— সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবাধ বিচরণ।

খুব অল্প বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেছিলেন চন্দন বাবু। থিয়েটার দিয়ে হয় হাতেখড়ি। মঞ্চের পাশাপাশি ছবি এবং টেলিভিশনেও কাজ করে গিয়েছেন তিনি। ‘বো ব্যারাকস ফরএভার’, ‘ম্যাডলি বাঙালি’, ‘ব্যোমকেশ ফিরে এল’র মত একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন চন্দন সেন। ছোট পর্দাতেও তাঁর জনপ্রিয়তা নেহাত কম নয়। ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘আঁচল’, ‘ইচ্ছে নদী’র মত ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে।”

ওই দর্শক প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন যে মারণ রোগ ক্যান্সারও তাকে আটকাতে পারেনি, আটকাতে পারেনি তার অভিনয় দক্ষতাকে,“২০১০ সালে ফলিকুলার লিম্ফোমায় আক্রান্ত হন চন্দন। কিন্তু এই মারণ রোগও আটকে রাখতে পারেনি তাঁকে। অদম্য জেদ আর সাহস নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা।

আরও পড়ুন : সিরিয়ালে কিছু ভালো গল্প যদি লেখিকার মাথায় না আসে তাহলে দয়া করে সিরিয়াল বন্ধ করে দিন!মিঠি ঝোরা অসহ্য হয়ে উঠছে দর্শকের কাছে!

থেমে না থেকে নতুন সব কাজ উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক একাধিক পুরস্কারও হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালে মুক্তি পায় অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’ (মানিকবাবুর মেঘ)। এক ব্যক্তির সঙ্গে মেঘের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ছবির গল্প বোনা হয়েছে। চন্দন ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন দেবেশ রায়চৌধুরী, ব্রাত্য বসুর মত অভিনেতারা। দ্য ক্লাউড অ্যান্ড দ্য ম্যান’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাশিয়ায় প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার ও পেয়েছিলেন তিনি।”

ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে এরকম একজন দুর্ধর্ষ অভিনেতার অভিনয় আরো বিস্তৃত হওয়া উচিত বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উচিত তাকে একেবারে লুফে নেওয়া,ঐ দর্শক মনে করেন যে তিনি তার যোগ্য সমাদর পান নি, তার কথায়,“তবে দুঃখের বিষয় বাংলা সিনেমায় তিনি যতটা দক্ষতার সাথে অভিনয় করেন।

বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সেভাবে সম্মান দিচ্ছে না এমন অসামান্য অভিনেতাদের কেন বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কদর দেয়া হয় না তা জানা নেই। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে হয়তো রাজনীতি না থাকলে এমন বহু অভিনেতা আছেন যাঁদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হতো।এ বিষয়ে আপনাদের কি মতামত অবশ্যই জানাবেন।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh