‘ফুলঝুরি গায়িকা থেকে কেন আয়া হল এর উত্তর না খুঁজে ভেবে নিন আলিফ লায়লা দেখছেন তাহলে বাস্তবের সাথে মিল খোঁজার ভুল আর হবে না’-ধুলোকণার নতুন ট্র্যাক এ গাঁজাখুড়ি বলে দাবি করছেন নেটিজেনদের একাংশ!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’। এই ধারাবাহিকে ফুলঝুরি একসময় একটি বাড়ির কাজের মেয়ে ছিল তারপর জানা যায় সে সেই বাড়িরই একটি সদস্যের মেয়ে। তারপর ফুলঝুরি অনেক বড় গায়িকা হয় এবং ভবিষ্যতে লালন নামের একজন কে সে বিয়ে করে। এরপর ধুলো কণা ধারাবাহিকে দেখা যায় যে ,লালনকে বিয়ে করার পরে সে লালনের সাথে বেড়াতে গেলে সেখানে চান্দ্রেয়ী শ্রীরূপার সাথে হাত মিলিয়ে লালন কে খুন করে। (যদিও দর্শকদের দেখানো হয়েছে যে লালন এখনো বেঁচে আছে এবং একটি হাসপাতালে আছে)
এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় ফুলঝুরি যে কিনা একজন বিখ্যাত গায়িকা ছিল যার একটি নিজস্ব গাড়ি ছিল, সে হঠাৎ করে একটি হাসপাতালে গেছে আয়া হিসেবে কাজ নিতে। এই দৃশ্য দেখার পর দর্শকরা রীতিমতো চটে গিয়েছেন তারা বলছেন এটা একটা গাঁজাখুরি সিরিয়াল এই সিরিয়ালের কোনরকম ব্যাখ্যা নেই। একজন বড় গায়িকা কেন শুধু শুধু আয়া হতে যাবেন? যেহেতু লালন সেই হাসপাতালে ভর্তি আছে তাই গল্পের নিরিখে শুধু নায়ক নায়িকা কে মেলানোর জন্যই এরকম বেসলেস গল্প লেখা হচ্ছে বলে দাবি করছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
তবে ধুলোকণা ভক্তদের দাবি এইভাবে কোন ধারাবাহিক ভালো মত খুঁটিয়ে না দেখে শুধুমাত্র ধারাবাহিকের কয়েকটি প্রোমো দেখে ধারাবাহিকের জাজমেন্ট করা যায় না। একজন ভক্ত এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,“
অনলাইনে একটা নতুন ঢং শুরু হয়েছে ফুলঝুরি এত বড় গায়িকা হয়ে কেন আয়ার কাজ করতে গেল???
হুম সত্যিই চোখে লাগার মত বিষয়।প্রথমেই যদি বলি এটা একটা সিরিয়াল।সব কিছুই বাস্তবের মত হবেনা।অতি নাটকীয়তা থাকবেই।তা না হলে শুরুতে কাল্পনিক লেখা উঠতো না।
দ্বিতীয়ত সবগুলো এপিসোড দেখলে এই ধরনের প্রশ্ন কারো মনে উদয় হওয়ার সুযোগই পেত না।আমি একটু ক্লিয়ার করি তবে?
ফুলের শ্বশুরবাড়ির সবাই ফুলের উপর ক্ষ্যাপা ছিল।লালনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছিল অনবরত।তাকে বাড়িতে থাকতেই দিবে না।কিন্তু ফুল পরিস্থিতির বিবেচনায় কথাগুলো আমলে না নিয়ে লালনের জায়গা নিতে চায়লো।লালন নেই তো কি হয়েছে সে এই বাড়িতেই থাকতে চায় লালন হয়ে।অনেক অনুরোধ করার পর ফয়সালা হল এই বাড়িতে থাকতে গেলে গান গাওয়া চলবে না।যে গান আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে সেটা নিয়ে আর চর্চা হবেনা।ফুল এই শর্তে রাজি হয়।
এছাড়া ফুল আর লালন ডুয়েট গায়তো।লালনবিহীন ফুলও স্টেজ শেয়ার করতে চায়না।কিন্তু সংসার চালাতে কিছু একটা করতে হবে ফুলকে।তাই তাৎক্ষণিক যে কাজের হদিস পেয়েছে সেটাই করতে গেছে।
এখন ফুলের বাপের বাড়ি বড়লোক।ফুল চায়না বাপের বাড়ির টাকায় শ্বশুরবাড়ির সংসার চলুক।লালন বেঁচে থাকলে সেটা জীবনেও হতে দিত না।তাছাড়া এই আয়ার কাজ করা নিয়ে ফুলের বাপের বাড়ির আপত্তি ছিল।তারা চেয়েছিল ফুল পড়াশোনা করে বড় কিছু করুক।
কিন্তু ততদিনে লালনের বৃদ্ধ বাবা মা কে কে দেখতো?ফুল বললো আমাকে নিয়ে তোমরা অনেক চেষ্টাই করেছো আমি তোমাদের মুখ রাখতে পারিনি।আমাকে ক্ষমা করো।যে কয়টা দিন আছে আমি লালনের পরিবারকে আঁকড়ে বাঁচতে চায়।একটা কায়িগ শ্রমের কাজের ভিতরে থাকলে আমিও সবটা ভুলে থাকতে পারবো।
মানুষের সেবা করার ভিতরেই নিজের আনন্দ খুঁজে নেব।
তাহলে এখানে ভুলটা কোথায়?যারা না দেখে স্টোরি না বুঝে উল্টা পাল্টা কথা বলে তাদের আর যায় হোক সঠিক বুঝার অভাব।”
তবে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন একদল মানুষ, তাদের কথায়, তাহলে আপনি বলছেন কোন ধারাবাহিক দেখতে গেলে এইটা ভেবেই দেখতে হবে যে আলিফ লায়লা দেখছি। যেটা শুধুমাত্র কল্পনাতেই হয় বাস্তবে যার সাথে কোন মিল নেই। এই ধারণা নিয়ে ধারাবাহিক দেখতে গেলে তবেই মনে হবে সবকিছু ঠিকঠাক দেখছি।