একের পর এক জমজমাট পর্ব দেখিয়ে দর্শকদের মনে এক পালাদায় জায়গা করে নিয়েছে জি বাংলার “নিম ফুলের মধু” সিরিয়াল। টিআরপি তালিকাতে গত সপ্তাহে একেবারে প্রথমেই অবস্থান করছিল এই ধারাবাহিক। মায়ের উস্কানিতে ভুলবশত পর্ণাকে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছিল সৃজন।
কিন্তু আদালতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স পেপারে আর সই করতে পারেনি সৃজন। বরং পর্ণার পাশে দাঁড়িয়েছে সে। তাইতো এই সপ্তাহে টিআরপি দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করেছে এই ধারাবাহিক।
চয়নকে উদ্ধার করে আনার পর থেকেই যেনো পর্ণাকে চোখের হারায় সৃজন। সেটাই চক্ষুশুল হয়ে দাঁড়িয়েছে সৃজনের মা কৃষ্ণা ও ইশার। তারা দুজনে মিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সৃজন আর পর্ণার ডিভোর্স করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সেই সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে দেয় সৃজন নিজেই।
ডিভোর্সের কেসে কোর্টের শুনানির আগের দিন তাই দুজনের জমজমাট বিবাহ বার্ষিকী পালন করা হয় দত্ত বাড়িতে। নিয়ম মেনে নতুন করে পর্ণার আর সৃজনের বিয়ে হয়।
সেখানে আবার উপস্থিত ছিল ফুলকি আর রোহিত। শুধু তাই নয় সৃজন আর পর্ণার ফুলশয্যার আয়োজন করা হয়। সেখানে আগের সমস্ত রাগ অভিমান ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে কাছাকাছি আসে সৃজন আর পর্ণা। এত অনুষ্ঠানে কৃষ্ণা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তার কোনো প্ল্যান কাজ করেন।
অবশেষে পরের দিনে সকালে কোর্টের মুখোমুখি হয় পর্ণা আর সৃজন। দুজনের পক্ষের লোকজনও ছিল কোর্টে। এদিন কোর্টে গিয়ে ৫০ লাখের খোরপোষ তো দূরে থাক, কিছুর দাবি জানায়নি পর্ণা। চুপচাপ সই করে দেয় ডিভোর্স পেপারে। কিন্তু সৃজন ডিভোর্স পেপারে সই করতে নারাজ।
এই দেখে পর্নাকে মারতে যায় সৃজনের মা। মাকে আটকে সৃজন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। সৃজনের এতদিনের মতিভ্রম কেটে গিয়েছে দেখে খুশি দর্শকরা।
