শেষমেশ জয় হলো উর্মি-সাত্যকির! অবশেষে উকিল বউ উর্মির চেষ্টায় বেকসুর খালাস পেলো সাত্যকি
স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার পরিচালিত ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকটি জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক। প্রতিদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে একরাশ হাস্যরস নিয়ে হাজির হয় এই ধারাবাহিক। সরল সাদাসিধে উর্মির প্রাণবন্ত অভিনয় প্রথম থেকেই নজর কেড়েছে দর্শকদের। ধারাবাহিকের পর্দায় উর্মির চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অন্বেষা হাজরাকে। এই ধারাবাহিকে তার বিপরীতে রয়েছেন ঋত্বিক মুখার্জ্জী। বর্তমানে উর্মি ও সাত্যকির অনস্ক্রিন রসায়ন মনে ধরেছে দর্শকদেরও। সম্প্রতি উর্মির চেষ্টাতেই মিথ্যা অভিযোগের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে সাত্যকি, খুশি বাড়ির সকলেই।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। উর্মির কাকা-কাকিমা ষড়যন্ত্রের জন্য সাত্যকির কেস কেউ নিতে চায়নি। এরপরে কোন উপায় না দেখে নিজেই স্বামীর হয়ে কেস লড়ে উর্মি। মোনালিসা বলে যে মেয়েটি সাত্যকির নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিল তার আসল পরিচয় সকলের সামনে ফাঁস করে দেয় উর্মি। পোড় খাওয়া উকিল মিস্টার বাসুর নাকের ডগা দিয়ে প্রথমেই উর্মি জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল সাত্যকিকে। কেস চলাকালীন হঠাৎ করেই উর্মিকে কিডন্যাপ করা হয়।
পরে অবশ্য অপহরণকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে আসেন উর্মি। সবটা প্রমাণ করে দেন সকলের সামনে। সেই মুহূর্তে মিস্টার বাসু ভরা আদালতে জানান তার কাছে এমন একজন সাক্ষী রয়েছে তিনি প্রমাণ করে দিতে পারবেন সাত্যকি সরকার অপরাধী। সেই সাক্ষী ছিল রিণীতা বিশ্বাস। তবে সে আদালতে মিথ্যা সাক্ষী না দেওয়ায় একেবারে বেকসুর খালাস হয়ে যায় সাত্যকি। সাত্যকি নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় সরকার বাড়ির সকলেই এখন খুশি। মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা মহিলা মোনাকে দু’বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। তবে সে জানাতে চায়, সে ইচ্ছা করে কাজটি করেননি, তাকে দিয়ে করানো হয়েছে। এই কথা শুনে উর্মি তার কাছে সত্যিটা জানতে গিয়ে দেখে যে জেলের মধ্যেই গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে সত্যিটা কি করে জানবে উর্মি? তার ইঙ্গিত অবশ্য এখনও মেলেনি ধারাবাহিকের পর্দায়।
তবে শর্ত সাপেক্ষে রিণি আদালতে সত্যি কথা বলেছে। সে একটাই শর্তে মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি। সে চায় তার টুকাইদার জীবন থেকে উর্মি চলে যাক। সেই শর্তই সে দিয়েছিল উর্মিকে। সংসার ও স্বামীর কথা ভেবে সব মেনে নিয়েছে উর্মি। তবে কি সত্যিই সব ছেড়ে চলে যাবে সে? তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।