‘ফুলকিতে সেই গাঁজাওয়ালা কমন সিন! নায়িকা বিল্ডিং থেকে পড়ছে তো পড়েই যাচ্ছে! নায়ক এসে ঠিকঠাক পজিশনে দাঁড়ানোর পর নায়িকা সুন্দর করে তার কোলে পড়ল!’ফুলকি নিয়ে তুমুল ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়!
জি বাংলায় একটি নতুন ধারাবাহিক এসেছে, এই ধারাবাহিকের নাম ফুলকি। এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সীমারেখা খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক বোস এবং নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা অভিনেত্রী দিব্যানি। এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে দেখা যাচ্ছে ফুলকির হাঁপানির রোগ আছে আর ফুলকির মায়ের কিডনির রোগ আছে, ফুলকির মায়ের ডায়ালাইসিস করার জন্য অনেক টাকার দরকার, সেই কারণে ফুলকি বক্সার হতে চায়। কারণ বক্সিং চ্যাম্পিয়নে জিতলে সে ১০ হাজার টাকা পাবে আর সেই টাকা দিয়ে সে তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারবে, কিন্তু সে যখন তার নাম লেখাতে যায় তখন তার চেহারা এবং হাঁপানি রোগ দেখে তার নাম নথিভূক্ত করা হয় না এবং পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বক্সাররা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে, তখন সে জানায় যে তার নাম ফুলকি সে যেটা বলে সেটা সে করেই থাকে, সে একদিন বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হয়েই দেখাবে।
অন্যদিকে ধারাবাহিকের নায়ক রোহিত একজন বক্সিং চ্যাম্পিয়ন, সে যে বছর বক্সিং এ চ্যাম্পিয়ন হয় সেই বছর একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয় সে, যে কারণে তার ড্রাগ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ আসে আর তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়,এরপর থেকে তার জীবনটা অন্য রকম হয়ে যায়, বক্সিং তার জীবন থেকে মুছে যাওয়ার সাথে সাথে রোহিতের সমস্ত জীবনটাই যেন অন্ধকার হয়ে যায়, তার মুখের হাসি, তার আনন্দ চলে যায় তার থেকে। এইবার কীভাবে ফুলকী আর রোহিতের মিলন হবে তা দেখবার জন্য অবশ্যই জি বাংলার পর্দায় চোখ রাখতে হবে প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে সাতটায়।
প্রথম এপিসোড দেখে দর্শক যেমন খুশি হয়ে প্রশংসা করেছেন তেমনি অনেক মানুষই ফুলকি ধারাবাহিকের প্রথম এপিসোড দেখে প্রচুর সমালোচনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন যেমন লিখেছেন যে,“ ফুলকি আফা আজকে থেকে তার ভালোবাসার ফুলকি নিয়ে হাজির হয়ে গেছে…সেই যাই হোক আমি তো দেখি নাই তাই বলতে পারছি না কেমন হলো…আম্মু দেখছিল আমি শুধু পাশের রুম থেকে বিজিএমই টুকুই শুনতে পারছিলাম।
অর্ধেক সময় জুড়েই শুধু হা…হাহাহা, হা…হাহাহা ই শুনে গেলাম।
কি জানি প্রথম দিনেই কি এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে গেল…
সে যাই হোক আমি তো আর দেখি নাই।
একটু পর পানি খেতে গিয়ে আগামী পর্ব চোখে পড়ল…দেখলাম সেই গাঁজা ওয়ালা কমন সিন(কেউ আবার জনি সিন পইড়েন না)।
নাইকা বিল্ডিং থেকে পড়ছে পড়ছে তো পড়েই যাচ্ছে নায়ক এসে ঠিকঠাক পজিশনে
দাঁড়ানোর পর নাইকা সুন্দর করে এসে তার কোলে পড়ে গেল(এইটা যদি কোলে না পড়ে ঘাড়ে এসে পড়তো সেই মজা লাগতো)….বুঝলাম জী প্রোডাকশন এইটাতেও গাঁজা ঢালবে।
সেই মিঠাইয়ের প্রথম দিকের এপিসোড দেখে ভেবেছিলাম জী প্রোডাকশনটা বেশ ভালো।
রিয়েলিজম কিছুটা মেনে চলে….তারপর সময় বাড়তে থাকলো, দেখলাম না…জী এর কাছেও গাঁজা আছে….তারপর এলো খেলনা বাড়ি…. এইটা দেখে বুঝলাম জী এর কাছে শুধু গাঁজা না গাঁজার পাহাড় আছে…
যাই হোক ফুলকির জন্য শুভকামনা ”