ডাক্তার,আধুনিকা হয়েও ঋতাভরী নয় বরং প্রবীণ হয়েও আধুনিকতার দিশারী হয়ে উঠলেন গুড্ডির জেঠুমনি!গুড্ডি অনুজের সম্পর্কে তিনি পাশে আছেন বলায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুড্ডি। এই ধারাবাহিকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে, মৃত্যুর কুড়ি বছর পর হুবহু অনুজের মতো একটি মানুষ আবার ফিরে এসেছে এবং তাকে দেখার পরে গুড্ডি আবার নতুন করে বাঁচার নতুন করে সংসার করার স্বপ্ন দেখছে। তার মনে হয়েছে আশেপাশের সবাই যখন নিজেদের মতো করে বেঁচে আছে তখন তার ও নিজের মতো করে বেঁচে থাকার অধিকার আছে , তার জেঠুমনি যখন এই প্রসঙ্গে বলে যে সে তো বহু আগেই গুড্ডিকে এই বিষয়ে বলেছিল ভালো থাকার জন্য, তখন গুড্ডি জানায় যে সেই সময় তার ভালো থাকার কোন উপায় ছিল না কারণ অনুজ চলে যাওয়ার পর সে অনুজের বিকল্প হিসেবে কাউকে খুঁজে পাইনি কিন্তু আজ এই মানুষটিকে দেখার পর সে বুঝতে পারছে এই অনুজ আর এ যদি অনুজ নাও হয়,তবু একে অস্বীকার করার ক্ষমতা তার নেই।
অর্থাৎ অনুজ অথবা অনুজের মতো হুবহু দেখতে মানুষটিকে নিয়ে গুড্ডি ভাবছে নতুন করে সংসার করার কথা ভাবছে কিন্তু গুড্ডির এই ভালো থাকার বিষয়টা নিয়ে বরাবরের মতো গুড্ডির জেঠু মনি যেমন মানুষ গুড্ডির পাশে আছে, গুড্ডির পাশে আছে অনুজের দাদাভাই আর মিঠি,তেমনি গুড্ডির এই সিদ্ধান্তে প্রথম থেকে সমালোচনা করে যাচ্ছে ঋতাভরি,ঋতুরাজ এবং পিনু বাবু। তাদের বক্তব্য, গুড্ডি যেটা করছে সেটা অত্যন্ত লজ্জার এবং অত্যন্ত ঘৃণার, নিজের পালিতা মেয়ে হয়ে ঋতাভরি গুড্ডির সম্পর্কে যে রকম শব্দ ব্যবহার করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, গুড্ডির জেঠু মনি যথেষ্ট মডার্ন বলে তার চিন্তাভাবনার প্রশংসা করছেন দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, “আজ জেঠুমুনির কথা মন ছুঁয়ে গেলো۔ এই বয়সে এসেও আজ সে কতটা আধুনিক হতে পেরেছে۔۔
জেঠুমুনি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ,আদর, সন্মান সব আপনার জন্যে রইলো۔۔
জেঠুমুনি আজ ও গুড্ডি কে খুব ভালোবাসে বিশ্বাস করে আর তাই অনুজ কে কি সুন্দর করে বললো যে “আমি তোমাকে চুপি চুপি বলছি যে তোমরা দুজনে গাঁটছড়া বাঁধলে আমি তোমাদের পাশে আছি۔ জীবনে যে কোনো সময় যে কেউ ভালো থাকতে পারে۔ তার জন্যে কাউকে জবাব দাহি করবার দরকার পরে না۔ ”
উফফ কি অসাধারণ কথা আজ জেঠুমুনি বললেন ۔মনটা পুরো ভোরে গেলো۔۔
ওই দিকে দাদাভাই এর মিঠি ও আজ গুড্ডি অনুজের পশে আছে
আজ রেশমি র যে রক্ত কথা বলছে টা আজ সে তার কথার মধ্যেই বুঝিয়ে দিলো ۔ এই কথা টা সত্যি যে কোনো মানুষ কে পাকের থেকে তুলে আনলে শরীর থেকে হয়তো পাক কে ধুলে পরিষ্কার হয়ে যায়۔কিন্তু পাকে থাকা মানুষের মন টা কে কি ধুয়ে পরিষ্কার করা যাই? ??????????????????????????????????????
না মনের কালিমা কোনো দিন ও পরিষ্কার করা যায় না۔
আর সেই কারণে পিনু যখন বললো যে ঋতাভরীর সাথে ঋতুরাজের বিয়ে দেওয়া টা ঠিক হয় নি۔ তৎক্ষণাৎ রিতা র মধ্যে থেকে আসল চেহারা ফুটে বার হয়ে গেলো۔۔ আর সে বলেই দিলো” কেন আমি তো মাম্মাম এর ব্লাড ক্যারি করি না”
ছি রিতাভরি ছি
দাদাভাই এখানে রিতা কে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন যে গুড্ডির কাছে এত দিন থেকেও গুড্ডির আলো টা তোমার মধ্যে পরে নি ۔
একদম যোগ্য জবাব দিয়েছে আরো বললো যে মা এর জন্যে তোমার কোনো চিন্তা নেই তোমার বলার ধরণ টা অন্য,গুড্ডি অনুজের সাথে একসাথে থাকলে ও যদি একটু সুখে থাকে সেটা তুমি মানতে পারছো না۔ তুমি ভুল ব্যাখ্যা করছো۔۔ যা তোমার থেকে কাম্য নয় ۔
রিতা আজ হাসপাতাল থেকে চলে এসে পুরো বাড়ির লোকের সামনে গুড্ডির চরিত্র নিয়ে কত কথা বললো۔ আর পিনু ,জেঠিমনি রিতার কথায় কনভেন্সড হয়ে গুড্ডি কে কোটি না অপমান করলো۔ আর রিতা এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে গুড্ডি কে সবাই কে দিয়ে অপমান করলো۔۔
. . এই জন্যেই বলে যে রক্ত কথা বলে۔ রিতা র শরীরের মধ্যে যে আসল রক্ত বইছে সেটাই আজ কথা বলছে۔
. . এতে গুড্ডির আর কিছু হারানোর নেই۔
মিঠি ও আশা হতো হয়ে রিতা কে জানালো যে শুধু রক্ত টাই ক্যারি করিস না কিন্তু শিক্ষা দীক্ষা সব ই তো গুড্ডি র ই দেওয়া۔۔ আর গুড্ডির জন্যেই আজ এখানে অবস্থান করছে۔۔ একজন ডাক্তার হতে পেরেছে”