ওটিটি থেকে সিরিয়াল চুরি করে দেওয়া হচ্ছে ফেসবুক পেজে! নিন্দায় মুখর লেখিকা থেকে টেলিপাড়ার সকলে! এরকম অন্যায় রুখতে কী সিদ্ধান্ত নেবে টেলিপাড়া?
টেলিভিশন পর্দায় সিরিয়াল দেখার জন্য মানুষের আগ্রহের আর শেষ থাকে না। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যুগ যত উন্নত হয়েছে মানুষের হাতে এসেছে মুঠোফোন। এই মুঠোফোনের কারণে এসেছে ও টি টি প্লার্টফর্ম। যে এপিসোড টি সন্ধ্যেবেলায় টিভির পর্দায় দেখানো হবে, সকালবেলাতেই সেটি ওটিটি প্লাটফর্মে দিয়ে দেওয়া হয়। আগাম নিজের পছন্দের ধারাবাহিক দেখার আগ্রহে মানুষ তাই পকেটের পয়সা খরচ করে সাবস্ক্রিপশন করে। কিন্তু এখন যদি সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই কেউ সন্ধ্যেবেলার এপিসোড সকলেই দেখতে পাই তখন?
হ্যাঁ, বর্তমানে এমনটাই হচ্ছে। ধরুন সাহেবের বাড়িতে মেহেন্দির দিন চিঠি, ছদ্মবেশে সেখানে জানতে গেল সাহেবের এ বিয়েতে মত আছে কিনা। অন্যদিকে প্রিকাপে দেখাচ্ছে সেই সময় নিজের স্বার্থসিদ্ধি করবার জন্য ত্রিশ কোটি লোভে ভালোবাসার নাটক করতে রাইমা ও এসে হাজির। এই প্রিকাপ দেখার জন্য আগামীকাল কী হয় তা জানতে মানুষ হুড়মুড়িয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন করবেন। কিন্তু এমনটা বেশি হচ্ছে না। কারণ facebook পেজ, ফেসবুকের বিভিন্ন পেজগুলি ওটিটি প্লাটফর্মে ধারাবাহিক স্ট্রিম করার পরই তা চুরি করে ফেসবুকে দিয়ে দেয় আর বিনামূল্যেই মানুষ তা দেখতে পায়। তাই ওটিটি তে না দেখে টিভির পর্দায় না দেখে সকালবেলাতেই মানুষজন জানতে পেরে যায় ধারাবাহিকে বিকেলের এপিসোডে কী হবে। এর ফল পড়ে টিআরপিতে। ধারাবাহিক জনপ্রিয়তা হারায় এবং প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে গিয়ে সরে যেতে হয়।
এটিকে চুরি বলা হয়। এই সিরিয়াল চুরির জন্য প্রযোজক চ্যানেল কর্তৃপক্ষের বহু অর্থ ক্ষতি হচ্ছে। এই বিষয়টির নিন্দায় সরব হয়েছেন টেলিপাড়ার প্রচুর মানুষ। লেখিকা ও প্রযোজক লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন,“ ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করছি। এটা অপরাধ মূলক কাজ। এমনটা কাম্য নয়। এর জন্য আইনি ব্যবস্থা হওয়া দরকার বলে মনে করি।অপরাধীকে ধরা প্রয়োজন। আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এতগুলো মানুষের পরিশ্রম সঠিক মূল্য পাচ্ছেনা। পাইরেসি বা চুরি সব সময় নিন্দনীয়।”
এই পাইরেসি একমাত্র একটা কাজের মাধ্যমেই আটকানো যায় সিরিয়ালের এপিসোড যদি টিভিতে সম্প্রচারের পরদিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম স্ট্রিম করে। কিন্তু এটা লেখিকা বা প্রযোজকের হাতে নেই এটা পুরোটাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের হাতে। এই প্রসঙ্গে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন ,“ এটা তো আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণটাই চ্যানেলের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে আমরা কী বা করতে পারি বলতে পারি, প্রযোজক হিসেবে আমাদের কাজ এপিসোড তৈরি করে দেওয়া। তারপর চ্যানেল সেটা কোথায় প্রথম টেলিকাস্ট করবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।” তবে আগামীতে এই চুরি রোগতে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা টেলিপারা যে আইনের সাহায্য নেবেন তা আন্দাজ করছেন অনেকে।