বারবার সম্পর্কের কথায় মুখে কুলুপ আঁটা ইশা দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে গিয়েই ঘায়েল! ঈশার মুখ থেকে প্রেমিক ইন্দ্রনীলের নাম কার্যত বের করে আনলেন রচনা ব্যানার্জী! দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে গিয়ে তাদের সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন ঈশা!
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঈশা সাহা, এই দিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসেছিলেন। এই দিন রচনা ব্যানার্জি ইশার থেকে একপ্রকার তার প্রেমের কথা বলিয়েই ছাড়েন। রচনা ব্যানার্জী বলেন ইশা যতবার এসেছ পেট থেকে কিছু বার করতে পারিনি। ইশা সাহা তখন বলেন, এবারও কিছু বার করতে পারবে না।
এরপর দেব পাশ থেকে বলেন, ওর রং পছন্দ। রচনা তখন হাসতে হাসতে বলেন আমি শুনেছি ঈশা নীল রং খুব পছন্দ করে। এখানেই শেষ নয় রচনা ব্যানার্জি আরও বলেন যে আমি শুনছি ইদানিং ইশা খুব ফেলুদা পড়ছে। ইশা তখন বলে আমি ছোট থেকেই ফেলুদা পড়ি।
রচনা ব্যানার্জী হাসতে হাসতে বলেন ও তুমি ছোট থেকেই ফেলুদা পড়তে আমরা তাহলে এত পরে জানতে পারলাম! এইভাবেই হাসি মজার ছলে ইশার প্রেমিকের কথা প্রায় বার করে নেন রচনা ব্যানার্জী।
ঈশা সাহার প্রেমের গুঞ্জন কিছু নতুন নয়। গত বছর ইশা সাহার প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। শোনা যায় ফেলুদা খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি আর এই কারণে ১৩ বছরের দাম্পত্য সংসার ভাঙছেন ইন্দ্রনীল।
এমনকি ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত তার স্ত্রী বরখার সাথে আলাদা থাকছেন বলে একটি সূত্র মারফত তথ্য উঠে আসে। শোনা যায় ‘তরুলতার ভূত’ ছবির আউটডোর শুটিংয়ে ইন্দ্রনীল ও ইশা গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় এবং তখন থেকেই তাদের সম্পর্কের বিষয়ে নানা ধরনের কথা রটতে থাকে। ইশা ইন্দ্রনীলের সম্পর্কের বিষয়ে বারখা নিজেই একটি পোস্ট করে তাদের সম্পর্ক ভাঙার জন্য ইশাকে দায়ী করেছিলেন। তবে সেই পোষ্টের পর তাদের সম্পর্ক নিয়ে চুপ ছিলেন ইশা এবং ইন্দ্রনীল দুজনেই। ইশা বলেছিলেন,‘যারা এই বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন তারাই বলতে পারবেন কেন এসব কথার সৃষ্টি হল’
অন্যদিকে ইন্দ্রনীল বলেছিলেন, “তারকাদের জীবন সবসময়ই লোক চক্ষুর সামনে থাকে। তাদের কাজ পারিবারিক জীবন নিয়ে সারাক্ষণ কাটাছেঁড়া চলে। আমি সেই আলোচনায় অংশ নিতে চাই নি আর চাইবো না। এটা আমার সচেতন সিদ্ধান্ত।”-দুজনে এই সম্পর্ক নিয়ে কুলুপ আটলেও দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে ঈশার হাসি এবং নীল রঙ ও ফেলুদা প্রসঙ্গে তার কথাবার্তা কার্যত সেই সম্পর্কেই সীলমোহর দিলো বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।