যারা কার কাছে কই মনের কথা কে বলছেন বকবক করছে তাঁরা কি চাই?কোন ডায়লগ ছাড়া পুরো 30 মিনিট সবাই দাড়িয়ে থাক!অযুক্তিক একটা বকবক দেখিনি’-দুর্দান্ত ওপেনিং বলে কার কাছে কই মনের কথাতে সার্টিফিকেট দিলেন দর্শক!
জি বাংলায় নতুন একটি ধারাবাহিক এসেছে, এই ধারাবাহিকটির নাম,‘কার কাছে কই মনের কথা’। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, বাবা মারা যাওয়ার পর শিমুল তার দাদাদের সংসারে রীতিমত বোঝা হয়ে উঠেছে, তার দাদা রা কোনরকমে তার বিয়ে দিতে পারলেই বাঁচে, এই বিয়ের বিষয়ে তার মত অমত পছন্দ-অপছন্দের কোন গুরুত্ব নেই, তার মা তাকে ভালবাসলেও যেহেতু তার বাবা আজ বেঁচে নেই, তাই তিনিও ছেলেদের উর্ধ্বে গিয়ে কিছু বলতে পারেন না। তাই আজীবন কলকাতায় বেড়ে ওঠা শিমুলের বিয়ে হয় শ্রীরামপুরে।
নাচ অন্ত প্রাণ শিমুল জানে না সে বিয়ের পরে আদৌ নাচ করতে পারবে কিনা? এই দোলাচলতার মধ্যেই পরাগের সাথে তার বিয়ে ঠিক হয়! পরাগের দিদি মানসিক ভারসাম্যহীন, পরাগের মা অর্থাৎ শিমুলের হবু শাশুড়ির কথা অনুযায়ী, পুতুল কে দেখবার জন্যই তিনি পরাগের বিয়ে দিয়ে বড় বউ আনছেন। নিজের হবু ছোটো বৌমা প্রতীক্ষাকে তিনি ভালোবাসেন, কারণ সে রোজগার করে, অন্যদিকে তিনি রীতিমতো কিপটা সেই কারণে তার বড় ছেলের বউকে আশীর্বাদে হার দেওয়ার পরিবর্তে টার্সেলের মধ্যে একটা সোনার লকেট গিফট করেন। প্রথম এপিসোডে আরও দেখানো হয় যে শিমুলের শাশুড়ি এতই কিপটা দু বছর আগে ছেলে কিনা একটা শাড়ি যেটা আবার তিনি একবার একটা অনুষ্ঠানে পরেছিলেন, সেই শাড়ি তিনি প্যাকিং করে ছেলের বউকে দিতে চান, এই বিষয়ে প্রতিবেশীরা বললে তিনি তাদেরকে দুই কথা শুনিয়ে ও দেন।
জি বাংলার ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকের প্রথম পর্বের এপিসোড দেখে দর্শকরা বলতে শুরু করেন যে, ৩০ মিনিট ধরে সবাই খালি বকবক করেই কাটিয়ে দিল মানালির নাচ ছাড়া আর কোন কিছু ভালো লাগে না। এই বিষয়টির প্রতিবাদ করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“যারা কার কাছে কই মনের কথা কে বলছেন বকবক করছে তাঁরা কি চাই? কোন ডায়লগ ছাড়া পুরো 30 মিনিট সবাই দাড়িয়ে থাক? আমিতো অযুক্তিক একটা বকবক দেখিনি।
দুর্দান্ত ওপেনিং”