সতীদাহ প্রথা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে কমলা,পৃথ্বীরাজ! প্রোমো দেখেই যারা খারাপ বলেছিলেন তাদের মুখে ঝামা পরল!ধারাবাহিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!
স্টার জলসা জনপ্রিয় ধারাবাহিক কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে, কমলা ও পৃথ্বীরাজ চরিত্র দুটি তৎকালীন কুসংস্কার, অন্যায় অবিচার, নারী-পুরুষের বৈষম্য ও নারীর শোষণের প্রতি রীতিমতো গর্জে উঠেছে। মানিকের ছোট পিসি যখন বিধবা হয় তখন তার সাথে কি পরিমান অন্যায় করা হয় তা এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে আর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে কমলা ও পৃথ্বীরাজ।
মানিকের ছোট পিসির এক বয়স্ক মানুষের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়েছিলো, এরপর সেই মানুষের মৃত্যু হয়ে গেলে জোর করে তাকেও চিতায় তুলে দেওয়া হয় সতীদাহ প্রথা করানোর জন্য, মানিকের বাবা ছুটে যায় এবং মানিকের পিসিকে সতী হওয়া থেকে রক্ষা করে, এখানেই শেষ নয়, মানিকের পিসির বড় চুল থাকায় সে সেই চুল বেনি করে রাখে, কিন্তু তৎকালীন সমাজে বিধবাদের চুল রাখা অন্যায়, তাই কাঁচি দিয়ে তার চুল কেটে ফেলার চেষ্টা করতে থাকে তারই বাড়ির লোক, এই অপচেষ্টার প্রতিবাদ করে কমলা ও পৃথ্বীরাজ।
কুসংস্কারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা এই ধারাবাহিক যে দর্শকের মনে আস্তে আস্তে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান টিআরপি তার প্রমাণ, তাই খেলনা বাড়ি স্লট হারিয়েছে আর কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ স্লট পেয়েছে। দর্শকের বেশিরভাগ মানুষ এই জিনিসটাই মুগ্ধ হয়েছেন যে, এত ভালো একটি ধারাবাহিক এবং অনবদ্য একটি কনসেপ্ট টিআরপিতে ভালো ফলাফল করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা বলছেন যে, এই ধারাবাহিকটি প্রথম আসার সময় যারা প্রোমো দেখে বলেছিলেন ফ্লপ হবে,তাদের মুখে ভালোই ঝামা পড়লো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, “এক কথায় অনবদ্য কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। সতীদাহ প্রথা আর কু সংস্কার যে আগের সময় এতো পরিমাণে মানুষের মনে গেড়ে বসেছিলো যে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেও চুলে বেণী পড়াও মহাপাপ। আর তার জন্য ছোট পিসির চুল কেটেই ছাড়বে। নিজের মায়ের পেটের বোনেরাই যদি নিজের বোনের সাথে এমন অবিচার করে তাহলে বাইরের মানুষেরা তো কোন নস্যি। কি পেল মানিকের ছোট পিসি জীবনে। এক বুড়োর সাথে বিয়ে দিয়ে জীবনটা পুরো শেষ হয়ে গেল। নিজের সখ আল্লাদ বলতে কিছুই পেলনা তার অপরাধ শুধু চুলে বেণী পড়া।
সময় পাল্টেছে নিজের এই অন্ধকার ও কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসে নিজের স্বাধীন মতো চলা। আর সত্যি বলতে কমলার শ্বশুরমশাই এতোটা সাপোর্ট করে তার কোন তুলনাই হয়না। আর কমলা মানিক তো সাথে আছেই।
সত্যি স্নিগ্ধা ম্যাম এতো সুন্দর করে লিখছে যে তা বলার বাইরে। আর মানুষও এখন বুঝতে শিখেছে কোনটার মান ভালো। আর প্রমাণ তো পাওয়াই যাচ্ছে। সত্যি বলতে কমলা আসার পর থেকে অনেকেই অনেক কথা শুনিয়েছিলো। তাদের যোগ্য জবাব দিয়ে থোঁতা মুখ একেবারে ভোঁতা করে দিয়েছে। ভাই বলছি অ্যাক্রোপলিসও চ্যালেঞ্জ নিতে জানে। আর স্টার জলসাও জানে কাকে কোনটা দিলে সে কেমন করবে। অহংকার করছিনা। উত্থান পতন তো আসবেই। সেটা মাথায় রেখে এগিয়ে চলতে হবে।
তবে এটা তাদের জন্য যারা কমলাকে নন প্রাইমে দিতে বলতো। প্রথম প্রোমো আসার পর থেকে। আর প্রোমো দেখে কোন কিছু বিচার করতে নেই। তবে এভাবেই হেটারের মুখে ঝামা ঘসে কমলা এগিয়ে যাক।৷ ”