এখনই শেষ হচ্ছে না লালকুঠি! ‘লালকুঠি বন্ধের খবরে পাত্তা দিও না, লালকুঠি এখন অনেক দিন চলবে’ খোদ বিক্রমের মুখ থেকে খবর জোগাড় করে আনলো লালকুঠি ভক্ত!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক লালকুঠি। রহস্য রোমাঞ্চ ভরপুর এই ধারাবাহিক দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের আর হবে নাই বা কেন চিরাচরিত পারিবারিক কুটকাচালি পূর্ণ ধারাবাহিকের বদলে লালকুঠি এক অন্য স্বাদের ধারাবাহিক। যেখানে প্রতি ঘরে ঘরে যেন একটার পর একটা রহস্য, লালকুঠি বাড়ির প্রত্যেকটি চরিত্র নিয়েও ছেয়ে আছে রহস্য আর সেই রহস্য যত বেশি উদঘাটন হচ্ছে তত মানুষ আকৃষ্ট হচ্ছে এই ধারাবাহিকের প্রতি। লালকুঠিতে বিক্রম অনামিকা অর্থাৎ রাহুল রুকমার জুটিও অনবদ্য। যদিও এই ধারাবাহিক প্রতিপক্ষ চ্যানেলের ধারাবাহিককে হারিয়ে স্লট লিডার হতে পারে নি তবে অনেকেই মনে করেন যে এই ধারাবাহিকের টাইমিং স্লট পরিবর্তন করলে হয়তো এই ধারাবাহিক স্লট লিডার হতে পারে। কারণ এই ধারাবাহিক এক কথায় অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে অভিনব।
এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের আরো অনুমান এই যে, এই ধারাবাহিকের রহস্য রোমাঞ্চ গল্প অভিনব হওয়ার কারণে কিছু মানুষ তা গ্রহণ করতে পারছেন না কারণ তারা চিরাচরিত পরকীয়া জড়িত কাহিনী দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাই আশানুরূপ টি আরপি পাচ্ছে না এই ধারাবাহিক। সবমিলিয়ে এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের একটা আলাদা উন্মাদনা কাজ করে এবং এই ধারাবাহিক রহস্যপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেই তো হবে না দিনের শেষে টিআরপি শেষ কথা বলে।
দীর্ঘদিন ধরে এই ধারাবাহিক যেহেতু টিআরপিতে স্লটলিড করতে পারছে না সেই কারণে শোনা যাচ্ছিলো যে জি বাংলার উমা ধারাবাহিকের শেষের পর এবার লালকুঠি ধারাবাহিক শেষ হবে। স্বাভাবিকভাবে এইরকম একটি মন খারাপ করা খবর শুনে লাল কুঠির ভক্তরা হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাদের জন্য সুখবর। লালকুঠির নায়ক চরিত্র বিক্রম অর্থাৎ রাহুল অরুণোদয় বন্দোপাধ্যায় নিজে বলেছেন লালকুঠি এখন শেষ হচ্ছে না।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লালকুঠির একজন ভক্ত একটি স্ক্রিনশট দিয়েছেন যে স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে যে অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জির সাথে তার মেসেঞ্জারে কথোপকথন হয়েছে এবং অভিনেতা তাকে বলেছেন এই কথা যেন সবাইকে তিনি শেয়ার করেন। মেসেঞ্জারে দেখা যাচ্ছে ওই ভক্ত যখন লালকুঠি বন্ধ হওয়ার কথা শুনতে পাচ্ছেন বলেছেন, তখন রাহুল বলছেন ,“ পাত্তা দিও না। এই স্ক্রিনশট তুমি বাকিরা যারা লালকুঠি নিয়ে চিন্তিত তাদেরকে পাঠিয়ে দাও। লালকুঠি এখনো চলবে।”