‘লালকুঠিতে ভূ;ত নয় আছে মানুষের কারসাজি’! লালকুঠির সাম্প্রতিক কালের প্রোমোতে বিক্রমের কিডন্যাপিং পর্ব দেখবার পর বলছেন নেটিজেনরা? কাকে সন্দেহ করছেন তারা?
জি বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো লালকুঠি। এই ধারাবাহিকে এতদিন ধরে একটা ভৌতিক আবহাওয়া ক্রিয়েট করা হয়েছে। তবে বর্তমানে যেভাবে একটার পর একটা রহস্য উদঘাটন হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে লালকুঠিতে আসলে কোন ভূত নেই যা কিছু হচ্ছে তা একটি মানুষের কার সাজি। অনামিকার বিয়ের সময় যেমন নানান রকম ভৌতিক কান্ড কারখানা ঘটেছিল কিন্তু পরে জানা গেল তার মধ্যে কিছু ঘটনা বিথির কাজ। বাকি ঘটনাগুলো কে ঘটিয়েছে জানা না গেলেও এটা বোঝা যাচ্ছিল সেগুলিও কোনো না কোনো মানুষের কাজ।
সম্প্রতি লালকুঠির একটি নতুন প্রোমো বেরিয়েছে সেটা দেখে সবাই বুঝতে পারছে যে কোন মানুষ এইসব ঘটনা চতুরতার সাথে ঘটিয়ে চলেছেন। জিনি আর বেঁচে নেই এটা জানবার পরেই ঘর ছেড়েছিল বিক্রম কিন্তু তারপরে সে আর ঘরে ফেরেনি। এমনকি কারোর সাথে ফোনে যোগাযোগও করে নি। এই ঘটনাটাকে সবাই স্বাভাবিকভাবে নিলেও অনামিকা প্রথম থেকেই ভেবেছিল যে বিক্রম তো এমনটা করার মানুষ নয়। নিশ্চয়ই অন্য কোন ব্যাপার আছে।
সাম্প্রতিক কালের প্রোমোতে দেখা গেল লালকুঠিতে অনামিকার কাছে একটি চিঠি এসেছে যেখানে লেখা আছে,‘আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না যেখানে আছি ভালো আছি তোমাকে মুক্তি দিলাম। ইতি বিক্রম’- এই চিঠি দেখার পর অনামিকা বলে যে এই লেখা বিক্রম স্যারের হাতের লেখা নয়। আমি যদি খুব ভুল না করি তাহলে বিক্রম স্যার খুব বড় বিপদের মধ্যে আছেন। অন্যদিকে দেখা যায় একটি অন্ধকার ঘরে দড়ি বেঁধে বিক্রমকে রেখে দেওয়া হয়েছে কিছু মানুষ তাকে কিডন্যাপ করেছে। বিক্রম সেখান থেকে পালাবার চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয়। এই প্রোমো দেখার পর সকলেই বলতে থাকে এই সবটা সূর্যের প্ল্যান। অনেকে আবার বলছে সুলেখাও এইসব কাজ ঘটিয়ে থাকতে পারে। এখন নির্মাতারা কি দেখাবেন সেটাই দেখার!
View this post on Instagram