‘লালন অনুজের মত নয়! লালন চরিত্রে স্মৃতিভ্রষ্টের মানসিক সমস্যা ফুটে উঠছে’! লালন চরিত্রহীন নয়, তার চরিত্রে মানসিক সমস্যা ফুটে উঠছে!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধুলোকনা বর্তমানে বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। তার প্রথম কারণ এই ধারাবাহিকটি বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেঙ্গল টপার এর আসন ছিনিয়ে নিয়েছে আর দ্বিতীয় কারণ হল এই ধারাবাহিকের নায়ক লালনের উদ্ভট আচরণ। স্মৃতি ফিরে আসার পর লালন ফুলঝুরি কে চিনতে পারে এবং ফুলঝুরির কাছে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে চায়।
কিন্তু তারপরই লালন চরিত্রে একটা অন্যরকম বিষয় দেখানো হয় লালন ফুলঝুরির কাছে গেলেও তার তিতিরের কথা মনে পড়ছে এবং সে তিতিরের কাছে এসে বলছে আমার বাড়িতে মা-বাবা ফুলঝুরি সবাই আছে তবু আমার তোমার কথা খুব মনে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই এই ট্র্যাক্টটা দেখা নয় দর্শকদের অধিকাংশ মানুষই লালনকে দুশ্চরিত্র বলছেন। তারা মনে করছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অপর ধারাবাহিক গুড্ডির মতো ধুলোকণাও একই পথে হাঁটছে।
গুড্ডি ধারাবাহিকের নায়ক অনুজের মত লালনও দু নৌকায় পা ফেলে চলতে চাইছে। কিন্তু দর্শকদের একাংশের মানুষ বলছেন যে লালনের চরিত্রের মধ্যে যে পরিমাণে ছেলেমানুষি চোখে পড়ছে তাতে মনে হচ্ছে লালন এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি তার চরিত্রের এই বৈশিষ্ট্য গুলো তার অসুস্থতারই একটি অংশ।
একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ধূলোকণার প্রেজেন্ট ট্র্যাকটা জমজমাট হচ্ছে
একদিকে লালনের মানসিক সমস্যা নিয়ে লালফুলের ভিতরে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।লালন স্মৃতি হারানো এবং স্মৃতি ফেরার মাঝামাঝি ফেইজ এ ফেঁসে গেছে।একটা দুই বছরের বাচ্চাও বুঝতে পারবে এপিসোড দেখলে যে লালন অসুস্থ।
ফুলঝুরির অভিমান এবং কষ্ট পাওয়া স্বাভাবিক।বিয়ের দিন সন্ধ্যায় আবার তিতিরের পরিবারও আসছে।তখনও আবার একটা ড্রামা চলবে।কি হতে চলেছে সেটা আগে থেকেই প্রেডিক্ট করা যাচ্ছেনা।মানুষের জীবনে দুঃখ,কষ্ট,ঝামেলা,হতাশা এগুলোই বেশি।সেটারই বাস্তব প্রতিফলন এখানে।ফুলঝুরির অভিনয় এখন দারুণ হচ্ছে আবার।
চড়ুই এর বিয়েতে নাচ-গান,হৈ-হুল্লোড় চলছে।বাড়িতে অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে।চিরাচরিত বিয়ে বাড়ির ফ্লেভার পাওয়া যাচ্ছে।মনে হচ্ছে বাস্তবেই বিয়ে হচ্ছে।
কনকলতায় চান্দ্রেয়ীর আগমণ।দেখে পজেটিভই লাগছে।পরে কি হবে বুঝা যাচ্ছেনা।চড়ুই ও ভাল হয়ে গেছে।সম্ভবত এবার তিতিরের বিষয়টা নিয়েই গল্প এগিয়ে যাবে।
ধূলোকণায় দেখায় একরকম কিন্তু ঘটে অন্যরকম।বার বারই এমন হয়েছে।লালনের মস্তিষ্ক বিভ্রাট নিয়ে ধূলোকণায় কি এক্সপেরিমেন্ট হয় সেটাই এখন দেখার…”