রাণী রাসমণিতে দ্বারিকার স্ত্রীর প্রাণ বাঁচাতে মর্ত্যে এলেন স্বয়ং মা ভবতারিণী
জী বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল রাণী রাসমণি। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিক মানুষের মনে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছিল। টিআরপি ওঠা নামা করলেও এই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রচুর। বর্তমানে এই ধারাবাহিকে জীবনাবসান ঘটেছে রাণী রাসমণির। ইতি টেনেছেন ম্থুরবাবুও। এখন এই ধারাবাহিকে পুরানো কিছু চরিত্রের সঙ্গে আগমন ঘটেছে নতুনদেরও।
সম্প্রতি রাণী রাসমণি ধারাবাহিকের উত্তর পর্ব চলছে। চলতি সপ্তাহের বেশ কয়েকটি এপিসোড দেখানো হয়েছে রাসমণির নাতি দ্বারিকা এবং মন্দিরের আশ্রিতা ইন্দুর বিয়ে নিয়ে। দ্বারিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন সুমন দে এবং ইন্দু অর্থাৎ কুমোদিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুস্মিলি আচার্য। বলা যায় এখন এই দুটো চরিত্রের উপর এবং রামকৃষ্ণ ও সারদা মা এর উপর ভিত্তি করেই। একন এই ধারাবারিকে ইন্দুর আসল পরিচয় কেউ জানেননা। সেই যে কুমদিনি সে কথা অজানা সকলের।
মা ভবতারিণীর কৃপায় সে ঠাঁই পেয়েছে মন্দিরে। অল্প অল্প করে দ্বারিকার উপর তার আকর্ষণ বাড়তে থাকে। এরপরই মাসীমণি ও মেসোবাবু বয়স্ক জমিদার নগেন চৌধুরীর সঙ্গে চক্রান্ত করে নগেন চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কুমুদিনীর। এই চক্রান্তের কথা জানতে পেরে দ্বারিকা ওই বিবাহ আসরে গিয়ে কুমোদিনীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। এরপর কুমুদিনীকে কোন এক আরতে আটকে রাখেন নগেন চৌধুরী এবং তার দলবল। আহত হয় দ্বারিকাও।
এরপর কুমুদিনীকে আগুনে পুড়ে যাওয়ার হাত রক্ষা করে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলের পথ দিয়ে পালিয়ে আসছিল দ্বারিকা। তবে ঐ সময়ে কোন কুমুদিনী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারায় সে। এরপর দ্বারিকা জল আনতে যায় তার জন্য। সেইসময়ে স্বয়ং মা ভবতারিণী এসে কুমুদিনীর প্রাণ রক্ষা করছেন। ভক্তের ডাকে মা ছুটে আসেন। এমনটাই হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। রাণী রাসমণি ধারাবাহিকে এমন দৃশ্য এই প্রথম নয়। তবে সম্প্রতি এই দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন সকল দর্শকরাই।