বিয়ে হতে না হতেই শুরু একগুচ্ছ অভিযোগ! কী নিয়ে এতো ঝগড়া হয় গায়িকা মেখলা আর অর্কপ্রভর?
ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে বিখ্যাত এক গায়িকা এখন মেখলা দাসগুপ্ত। ভেলেনটাইনস্ ডে-তে নিজের বরকে নিয়ে আসেন তিনি দিদি নম্বর ১-এর স্টেজে। সেখানে এসেই অভিযোগের ঝুড়ি খুলে বসেন হাসবেন্ড অর্কপ্রভ-র নামে। নিজেদের প্রেমের গল্পও শোনান সেখানে মেখলা। শিলিগুড়ির ছেলে আর বালুরঘাটের মেয়ে, দুজনের মধ্যে যে কিভাবে প্রেম সংঘটিত হল তা জানার বিষয়।
মেখলা জানান তিনি যখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়েন তখন তাঁর এক শিলিগুড়ির খুব ভালো বান্ধবী বলেন প্রেম করবি? তখন মেখলা জানায় এভাবে হয় নাকি। তখন তাঁর বান্ধবী বলেন আমার বয়ফ্রেন্ডের এক বন্ধু আছে, ভালো ছেলে খুব চুপচাপ। তার কিছুদিন পর অর্কপ্রভ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় মেখলাকে। মেখলা জানায় একদিন পর রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করে সে। এরপরে সেখানেই চলতে থাকে কথাবার্তা, পরবর্তীতে প্রেম।
এবার আসা যাক অর্কপ্রভকে নিয়ে মেখলার অভিযোগগুলি নিয়ে। এক বছর দু’মাস হয়েছে তাঁদের বৈবাহিক জীবনের, তার মধ্যেই এত অভিযোগ দেখে রচনা ব্যানার্জি হেসে গড়াচ্ছেন। আসলে এই অভিযোগ বাজে অভিযোগ না, এগুলি হল বৈবাহিক জীবনের ভালো অভিযোগ। ওয়াশিং মেশিনে জামা কাপড় ধুতে দিয়ে মেখলা যদি অর্কপ্রভকে বলে রাখেন যে জামা কাপড় বের করে মেলে দিতে তবেই তিনি দেবেন নয়ত নয়। ঘরে ফল শেষ হয়ে গেলে সেটা চোখে পরলেও অর্কপ্রভকে যতক্ষন না মেখলা বলছেন অর্কপ্রভ তা আনবেন না।
এরপর অর্কপ্রভকে আনরোমান্টিক বলে বসলেন গায়িকা। আর দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে কোনো স্ত্রী যদি তাঁর স্বামীকে আনরোমান্টিক বলেন তবে রচনা ব্যানার্জি সামনে আনিয়ে স্ত্রীকে প্রোপোজ করতে বলেন। অর্কপ্রভও এখানে ফুল দিয়ে খুব সুন্দর করে নিজের ভালোবাসার কথা জানান মেখলাকে। এভাবেই হাসি খুশিতে চলুক তাঁদের বৈবাহিক জীবন।