‘অন্য ধারাবাহিকের নায়কের মতো ডোডো অ্যাটিটিউড দেখায় না!চাঁদনীর সাথে সম দূরত্ব রাখে মৌ এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে না! ভীষণ ভালো লাগে ডোডোকে!- মেয়েবেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক
এই ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্র দেখতে দেখতে দর্শকের নায়ক চরিত্রের প্রতি একটা বিরক্তি তৈরি হয়েছে,তার কারণ ধারাবাহিকের নায়ক মানেই তার মনে এক মুখে এক, এক্সের সাথে ঢলাঢলি করবে আবার বউয়ের মন প্রতি মনের মধ্যে ফিলিংস ও থাকবে। স্ত্রীর সাথে প্রতিমুহূর্তে খারাপ ব্যবহার করবে, আবার স্ত্রীকে সন্দেহ করবে। পরিবারের লোকের কাছে স্ত্রীকে ছোট করবে আবার মনে মনে ভালবাসবে, তারপর তার প্রাক্তন প্রেম পরকীয়া এসব তো লেগেই থাকবে। চরিত্রের মধ্যে কোন প্রকার বলিষ্ঠতা দেখতে পাওয়া যায় না ধারাবাহিকের নায়ক চরিত্র গুলির মধ্যে, এরা বারোমাসেই বিপদে পড়ে আর সর্বংসহা দেবী দুর্গার মত তাদের স্ত্রীরা তাদের রক্ষা করে।
মেয়েবেলা ধারাবাহিকের ডোডো চরিত্র সেই দিক থেকে ব্যতিক্রম। সে প্রত্যেকটা মুহূর্তে মৌকে প্রটেক্ট করবার চেষ্টা করে আর চাঁদনীর সাথে ও সমান দূরত্ব মেন্টেন করে চলে। তাই এই চরিত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন দর্শক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“ডোডোকে আমার ভীষন ভালো লাগে। না আজকে অর্পণকে নিয়ে না,, বরং ডোডো চরিত্রটাকে নিয়ে বলছি। ডোডো বাকি পাচটা বাংলা সিরিয়ালের নায়কের মতো গম্ভীর আর এটিটিউড দেখায়না। বরং বাড়ির সবার সঙ্গে হাসি খুশি ভাবে মেশে।সব নায়কদের মতো মেয়েদের অপছন্দ করা বা কাড়ি কাড়ি টাকার মালিকও ডোডো না। কিন্তু ওর যা আছে সেটুকু দিয়ে ও শুধু চায় বাড়ির সবাইকে খুশি রাখতে।
ডোডো যখন বিপদে পড়েছিল দুই কোটি টাকা হঠাৎ করে আকাশ থেকে আসে নি বরং ওকে বাড়ির সবার সাহায্য নিতে হয়েছিল যেমন টা বাস্তবে হয়।বারো বছরের সম্পর্ক ছেড়ে মৌকে বিয়ে করেছে বলে মৌয়ের উপর কখনও সেই দোষটা চাপিয়ে দেয়নি। বরং খুব সহজ ভাবে মৌয়ের সঙ্গে মিশছে। মৌকে সাহায্য করতে চাইছে। মৌ যখন সাহায্য নিচ্ছে না বলে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। আবার চাদনীর সঙ্গেও নির্দিষ্ট সীমারেখা বজায় রেখেছে। আর বাকি পাচটা নায়কদের চেয়ে ডোডো আলাদা বলে ডোডোকে আমার ভীষন পছন্দ। সিরিয়াল টার শেষ পযর্ন্ত ডোডো চরিত্র টা যেন এমনই থাকে।”