ভেস্তে গেল মিঠাই-সিদ্ধার্থর বিয়ে! চিরকালের মতো আলাদা হয়ে যাচ্ছে সিদ্ধার্থ-মিঠাই, মায়ের সাথে জনাইতে ফিরে যাচ্ছে মিঠাই
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে ‘মিঠাই’ অন্যতম। শুরু থেকেই এই ধারাবাহিকের টিআরপি রেট প্রথমে রয়েছে। প্রথম দিন থেকে এই ধারাবাহিক দর্শকমনে একেবারে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন।
বিশেষ করে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের সম্পর্কটা বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকদের। তবে শনিবারের এপিসোডে দেখা গেছে মিঠাই চিরকালের মতো তার মায়ের সাথে মোদক বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে জানাইতে।
মোদক বাড়ির সকলে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের আবার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিয়ের দিন সন্ধ্যাবেলায় ডিভোর্স পিটিশনের কাগজটি চলে এসে সকলের সামনে ফলে ভেস্তে যায় তাদের বিয়ে। সকলে জেনে যায় সিদ্ধার্থ এবং মিঠাই দুজনেই ঐ কাগজে সই করে দিয়েছে।
এই কথা জানাজানি হওয়ার পর দাদাই বলেন তিনি এতদিন যে নাতিকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন এরপর থেকে আর করতে পারবেননা। আর এই সমস্ত কথা দরজার বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে শুনে নেয় মিঠাইয়ের মা। এরপরই তার মা সিদ্ধান্ত নেন তিনি মিঠাইকে নিয়ে জনাইতে ফিরে যাবেন। এই গোটা পরিস্থিতি দেখে দাদাই সকলকে বলেন নাতবৌ হিসেবে মিঠাই কে আটকে রাখার কোন অধিকার তার নেই। তাই তাকে যেন আর কেউ না আটকায়।
এরপর সিদ্ধার্থ তাকে জিজ্ঞাসা করে সে নিজের ইচ্ছায় চলে যাচ্ছে কেন। এর উত্তরে গভীর অভিমান থেকে মিঠাই বলে সে আজ পর্যন্ত কোন কাজেই নিজের ইচ্ছায় করেনি। এমনকি এই বিয়েটাও সে দাদুর নাতির ইচ্ছেতেই করেছে। সে বলে যা হচ্ছে ভালো হচ্ছে। মিঠাই তার উচ্ছেবাবুকে বলে দেয় তার সমস্ত জিনিস জায়গামতো রাখা রয়েছে আর যদি কিছু খুঁজে না পায় তাহলে তাকে যেন একটা ফোন করে নেয়।
সিদ্ধার্থকে সে এও বলে যে বাড়ির কারোর কোন বিপদ হলে তাকে যেন জানানো হয়। এরপর সিদ্ধার্থ মিঠাইকে জিজ্ঞাসা করে, “তোমার প্রতি অনেক অন্যায় করেছি না মিঠাই?” যাকে ভালোবাসা যায় তার ওপর কি আর দোষ দেওয়া সম্ভব! মিঠাই এই প্রশ্নের উত্তরে বলে “তুমি নিজেকে দোষ দিও না দাদাবাবু, তুমি তো আমাকে ঠকাওনি। শুরুতেই তুমি বলে দিয়েছিলে দাদুর কথায় এই বিয়েটা তুমি করছো। আমি কিছু উপকার করেছি, তুমিও কিছু করেছো, সব শোধবোধ হয়ে গেছে।” যাওয়ার আগে সে শেষবারের মতো একটা ইস্টুপিডের মত কাজ করতে চেয়ে উচ্চবাবুকে প্রণাম করে বসে।
সিদ্ধার্থের মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল চরম অনুশোচনায় ভুগছে সে। একদিকে তার মায়ের কথা আর অন্যদিকে বিয়েতে এবং সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানে বিশ্বাস করতে না পারা সবটা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে তার কাছে। সে বুঝতে পারছে না ঐ মুহূর্তে তার ঠিক কি করা উচিত। কিন্তু সে চায় মিঠাই মোদক বাড়িতেই থাকুক। তাহলে মিঠাই কি সত্যি সবাইকে ছেড়ে চলে যাবে? চলে যাবে কি মোদক বাড়ি ছেড়ে? সেই উত্তর পেতে গেলে নজর রাখতে হবে ‘মিঠাই’-এর পরের এপিসোডে।