রাই কি আদৌ তার মা ও বোনের চক্রবূহ ভেদ করে তার স্যারের কাছে যেতে পারবে??টানটান উত্তেজনা মিঠিঝোরাতে!
নাকি সম্পর্কের চক্রবূহ দেখছে? একদিকে দেখা যাচ্ছে যে রাইয়ের বস রাই আসবে বলে আনন্দে খুব খুশি। একগাদা বাজার হাট করে সে রাইয়ের প্রতীক্ষায় রয়েছে, রাই এলে কীভাবে তার সাথে গল্প গুজব করবে,সে নিয়ে কল্পনায় এক দস্তুর ভেসে গেলেন তিনি। অন্যদিকে রাইয়ের মা আবারও হয়ে গেল কাবাব মে হাড্ডি!এই সবকিছু নিয়ে মিঠি ঝোরাই তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনা।
রবিবার ছুটির দিন তার বড় মেয়ে কোথায় নাচতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে তার ছোট মেয়ে স্রোত দিদির পক্ষ নেয় তাই নিয়ে শুরু হয়ে যায় এক কুরুক্ষেত্র। অন্যদিকে দর্শক বুঝতে পারছেন না নিলু কেন সাত সকালে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে তার বাপের বাড়িতে চলে আসছে বাপের বাড়িতে দিদির জীবনটা ওষ্টাগত করতে?
সে তো তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে খুশি তার স্বামীকে নিয়ে খুশি তার সংসার নিয়ে খুশি, অন্যদিকে রাই নিজের সমস্ত কিছু উজার করে দিয়েছে তার বোনের সুখের জন্য। তাহলে নিলু কেন বারবার দিদির সুখের পথে কাঁটা হচ্ছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে
,“ মিঠিঝোরা তো নয়, এ তো জমে পুরো ক্ষীরঝোরা.!
বস বাবু সাত সকালেই ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে খুশিতে ঝুম বরাবর, ঝুম বরাবর করতে করতে ঘরে ঢোকে.! সাথে আবার তাজা তাজা ফুল.! রাই তার বাড়িতে আসবে ভাবতে ভাবতেই মুচকি মুচকি হেসে ওঠে.! স্বপ্নেতে সে গান গেয়ে রাইয়ের সাথে প্রেমও করতে থাকে.! কিন্তু প্লিজ কি গান, সেটা জিজ্ঞেস করবেন না.! এদিকে রাই ম্যাডামও স্যারের বাড়িতে আসার জন্য তাড়াতাড়ি করে বাড়ির রান্নাবান্নার জোগাড় করতে থাকে.!
কিন্তু সেই আবার কাবাব মে হাড্ডির মতো মা মণি এসে হাজির এবং সেই পুরোনো ক্যাসেট চালু.! আজকে রবিবার, ধিং ধিং করে কোথায় যাবার প্ল্যান ইত্যাদি ইত্যাদি.! ছোট বোন স্রোত এসে দিদির হয়ে কথা বলে, যার ফলে ছোটখাটো একটা কুরুক্ষেত্র শুরু হয়ে যায়.!
এদিকে নীলু ম্যাডাম ঠিক করে, বর ঘুম থেকে ওঠার আগেই সে হয়ে যাবে ফুররররর বাপের বাড়ি.! কিন্তু সে গুড়ে বালি, সৌর্য বাবু উঠে পড়ে এবং সে নীলুর সাথে যাবার জন্য জেদ ধরে.! যার ফলে নীলুর অবস্থা হয়ে যায়, গলায় আটকে যাওয়া কাঁটার মতো.! না পারছে গিলতে, আর না পারছে ফেলতে.!
আরও পড়ুন : অষ্টমী তে ‘আয়ুষ্মান’ চরিত্রে সপ্তর্ষি দা জাস্ট ফাটিয়ে এক্টিং করেছে!’অষ্টমী দেখে বলছেন দর্শক!
একদিকে খুশি সৌর্য তার এতো কেয়ার করার জন্য, কিন্তু ওপর দিকে হাওয়া খারাপ এটা ভেবে, যে যদি একবার তার মিথ্যেটা সৌর্য আর তার পরিবার জেনে যায় তাহলে কি হবে.? যাইহোক কোনোভাবে সে বরকে ছাড়াই বাপের বাড়িতে এসে হাজির হয়.!
আর এসে না এসেই মায়ের সাথে তাল মিলিয়ে রাইকে একই প্রশ্ন করে, যে সে কোথায় যাবে.? তার সেই প্রেমিকের কাছে নয় তো..??
So তোমাদের কি মনে হয়, রাই কি আদৌ তার মা ও বোনের চক্রবিহ্যু ভেদ করে তার স্যারের কাছে যেতে পারবে..??”
