জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠিঝোরা।
এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে বড় বোন রাই পরিবারের ভালোর জন্য নিজের ভালোবাসাকে স্যাক্রিফাইস করে, সে নিজের প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় নিজের মেজো বোন নীলুর। এরপর নীলু যখন সুখী হতে পারছে না, তখন নীলু কে সুখী
করার জন্য নিজের মাথায় সমস্ত দোষ নিয়ে নিজেকে চরিত্রহীন প্রমাণ করে শৌর্যের চোখে নিজেকে নীচে নামিয়ে দেয় যাতে শৌর্য নীলুকে ভালোবেসে গ্রহণ করে। এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, নীলু অনেক ভুলভাল কাজ করে এবং শৌর্য তাকে তাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : প্রতীক্ষা আজও ভালো হলো না অথচ কভারে প্রতীক্ষা র উপস্থিতি!কেন?
অন্যদিকে রাই নিজের মন শৌর্যের থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে অনির্বাণকে বিয়ে করবে। কারণ অনির্বাণকে সে ইতিমধ্যেই ভালোবেসে ফেলেছে। এখন কিছু মানুষের বক্তব্য হচ্ছে তারা রাইয়ের চরিত্রের দোষ খুঁজতে লেগে পড়েছেন। তাদের বক্তব্য হলো যে রাই কোনদিন শৌর্য কে ভালোই বাসেনি।
কারণ ভালোবাসলে সে এত তাড়াতাড়ি নতুন সম্পর্কে এগিয়ে যেতে পারত না। এখন ভেবে দেখতে গেলে দর্শকদের একাংশের মানুষ বলছে রাইয়ের পরিস্থিতিটা এমন হয়েছে যে, সে শৌর্যের কথা ভাবলেও দোষী হয়ে যাচ্ছে আবার অনির্বানের সাথে এগিয়ে গেলেও দোষী হয়ে যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“মানুষ আসলে চায় টা কী?যখন নীলুর সাথে বিয়ে দেওয়ার পর রাই সৌর্য এর জন্য কষ্ট পেতো তখন বলতো রাই পরকিয়া করে,লজ্জা নেই কষ্ট পেলে বোনকে বিয়ে দিলো কেন,নীলুর জীবণ শেষ করেছে।আর এখন যখন রাই পুরোপুরি সৌর্যকে ভুলে অনিবার্ন কে চাইছে সেটাও রাই নাকি নষ্ট। এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল কী করে, রাই সৌর্য নিলুর জীবন নষ্ট করেছে, রাই কী নিলু কে শিখিয়ে দিয়েছে কাজ না করার জন্য মা হওয়ার নাটক কর।
তাহলে রাই এর এখানে দোষ কোথায়?আর সূর্য যদি রাই কে এতোই ভালবাসে তাহলে নীলু কে প্রেগন্যান্ট করে কি করে সে নীলু হোক বা না হোক,রাত তো কাটিয়েছে।সৌর্য যদি নীলুর সাথে ঘুমাতে পারে তাহলে রাই কেনো অন্য কাউকে ভালবাসতে পারবে না?”
