বাংলা সিরিয়াল

শৌর্য্যর খারাপ হওয়ার দায় রাই এর!কাওকে জোর করে ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেই সম্পর্ক জুড়ে যায় নাকি?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা দেখলে, অনেকটা বাস্তবের মতই অনুভূতি হয়। কারণ লেখিকার ধারাবাহিকে কেউ একতরফা ভালো বা কেউ একতরফা খারাপ নয়। এই ধারাবাহিকের রাইকে যেভাবে মহান করা হয়েছে, সেটা অনেকেই মানতে পারেন না। দর্শকদের মধ্যে অনেকেই বলেন যে,রাই পরিবারের জন্য যা কিছু করেছে সেই সমস্ত কিছুকে মান্যতা দেওয়া গেলেও, শৌর্যের উপর এত খানি অধিকারবোধ দেখানো যে শৌর্যকে না জানিয়েই তার বিয়ে ঠিক করে দেওয়া – এই বিষয়টা একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।

একজন নেটিজেন এই বিষয়ে দীর্ঘ পোস্ট করে লিখেছেন যে রাই যা করেছে তা কার্যত অনধিকার চর্চা আর এত বড় অনধিকার চর্চা করে যদি কারো জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয় তাহলে সে চাইলেই পারে অন্য কারোর প্রতি প্রতিশোধ নিতে। ঐ দর্শক লিখেছেন যে,“লেখিকার কোনো গল্পেই কেউ একতরফা খারাপ বা একতরফা ভালো হয় না প্রোটাগনিষ্টরাও এর বাইরে থাকে না।

আরও পড়ুন : এক বিশেষ সিরিয়াল আছে যারা বৃহস্পতিবার আসার আগেই টপার হয়ে যায়,আগাম কেক আনিয়ে রাখে,তাদের প্রোমোর প্রয়োজন নেই ,হিরোর ভূমিকার প্রয়োজন নেই ,,রোমান্টিক সিন প্রয়োজন নেই ,,কিন্তু প্রতিবার কথার কাছে ঝাটা খায় আর বলে আমাদের প্রোমো দেয় না,বলুনতো কোন সিরিয়াল???

রাই চেয়েছে শৌর্য্য রাইকে ভালোবেসে, ওর পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে কোনোরকম প্রেম,ভালোবাসা ছাড়াই ওর ছোটবোন নীলুর দায়িত্ব আজীবন বহন করুক।আর ও ওর ভালোবাসা ত্যাগ করে শৌর্য্যের কষ্টের সহভাগী হবে। কিন্তু এই কাজটা ভাবা আর কার্য্যক্ষেত্রে সুসম্পন্ন করা সহজ নয়। আগেকার দিনে মানুষ হয়তো এমন ছিলোও আমার এটা stupidity বলেই মনে হয়।কারণ নিজে ভালো না থাকলে কাওকে ভালো রাখা যায় না।

অন্ততঃ আর যাইহোক ইচ্ছার বিরুদ্ধে toxic সম্পর্কে থেকে তো কোনোভাবেই সুখী হওয়া যায় না।এইসব sacrifice মানা যায় না। রাই নিজের পরিবারের কথা ভেবে এই বিয়ে নাই করতে পারে।কিন্তু শৌর্য্যর ঘাড়ে কাওকে চাঁপাতে পারে না।অনধিকার চর্চা।আর যদি এতোই অধিকার খাটাতে পারে, তো এতোবড়ো কষ্ট পেয়ে শৌর্য্য রাইকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার নিয়ে নিয়েছে।”

এক‌ইসাথে শৌর্য নীলুর সাথে যে সম্পর্ক তৈরি করেছে, তার কারণে তাকে নোংরা বলতেও নারাজ ঐ নেটিজেন। তার কথায় ,সে রাইয়ের বিধান মেনে এই কাজ করেছে, কিন্তু ক্রমশ সে বুঝতে পেরেছে নীলুর মন সংকীর্ণ , সে রাইয়ের মতো নয়,তাই তার মধ্যে প্রতিশোধ স্পৃহা তৈরি হয়েছে।

ঐ দর্শক আরো লিখেছেন যে,“ অনেকে মনে করছেন শৌর্য্য নীলুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে মানেই সে নোংরা, অশুচি।কিন্তু ওটা তো রাই এর বিধান মেনেই স্ত্রী এর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা মাত্র।এর মধ্যে ভুল নেই খুব একটা।কিন্তু রাই এর মতোন সমুদ্রকে যে একবার ভালোবেসেছে সে বদ্ধ জলাশয়ের মতোন নীলুকে ভালোবাসবে কেনো? নীলু নেগেটিভিটিতে ভরপুর।যেখানে কষ্ট রাই আর নীলু দুজনেরই সমান।কিন্তু রাই এতো নেগেটিভ নয়।তাই শৌর্য্য সবরকম চেষ্টা করেও রাই এর জায়গাটা নীলুকে দিতে অসফল হচ্ছে।ফলে রাগটা রাই এর ওপর গিয়ে পড়ছে।

শৌর্য্য একদম স্বাভাবিক একজন মানুষ।রাই যে মহামানবিকতা আশা করছে ওটা আসলে অবাস্তব!আবার অনেকেই বলছেন রাই সবার জীবন নষ্ট করে নিজে বসকে ড্যাং ড্যাং করে বিয়ে করে নিলো।রাই তো এটা ভুল করে নি।এটা করলে ওর আর শৌর্য্যের মধ্যে আরো দূরত্ব বাড়বে, তাতে করে নীলু-শৌর্য্যর সংসার বাঁচতে পারে।রাই নিজেও শৌর্য্যকে পুরোপুরি ভুলতে পারে যেটা এখন আসলেই উচিত কাজ। তাই রাই, শৌর্য্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি একটাও ধোপে টেকে না। শুধু রাই এর মহানতাটা এই সময়ে দাঁড়িয়ে অবাস্তব লাগে। আসলেই এতো মহান হওয়া যায় না বাস্তবে।

আরও পড়ুন : এইভাবেই কি প্রাণ সংশয় হবে জলসার সব নায়িকাদের?-গীতার রথযাত্রা স্পেশাল পর্ব দেখে বলছেন দর্শক!

নীলু ভালো করেই জানে শৌর্য্য রাইকে ভালোবাসে।সুতরাং একমাত্র বাঁচার পথ এই অসুস্থ্য চক্র থেকে বেরিয়ে, নিজেকে মুক্ত করে, নতুন সুস্থ্য জীবনে পা বাড়ানো।কিন্তু এটা করার মতোন সৎ, শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ও নয়। অনির্বান একজন প্রাপ্তবয়স্ক।সব জেনেই রাইকে বিয়ে করেছে।অতীতের baggage আছে এমন কাওকে বিয়ে করার সময় সবদিক ভেবে নিতে হয়।রাই হয়তো কিছুই বুঝতে দেবে না কোনোদিন কিন্তু অনির্বানের উচিত শৌর্য্যকে ভালো করে বুঝে নেওয়া।অনির্বান সব জেনে যখন এগিয়েছে তখন ভবিষ্যতে ও নিজের সিদ্ধান্তের জন্য নিজেই দায়ী থাকবে।

কারণ ওর মা কিন্তু ওকে সাবধান করেছিলো আগে। তবে এইসব তত্ত্ব আর তথ্য ঠিকঠাক লাগলেও রাই যে কষ্টটা শৌর্য্যকে দিয়েছে, আর যে সাংঘাতিক প্রতারণা প্রেমিকার জায়গা থেকে করেছে, ওর হিসেব মেটে নি।শৌর্য্য খুশী না থাকলে রাই এর কপালেও কিছুই জোটা উচিত নয়।শৌর্য্যর খারাপ হওয়ার দায় রাই এর। কাওকে জোর করে ঘাড়ে চাঁপিয়ে দিলেই সম্পর্ক জুড়ে যায় নাকি? লেখিকা দুই এ দুই এ চার না লিখে এই মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো দেখান এটাই ওনার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। দুই এ দুই এ চার লিখতে মগজ খাটাতে হয় না তেমন কিছুই”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh