বাংলা সিরিয়াল

আসল দোষী রাই শৌর্য!রাই মহান সেজে জোর করে বোনের বিয়ে দিয়ে বোনের জীবন নষ্ট করলো!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো মিঠিঝোরা। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রাই নিজের পরিবারের জন্য নিজের ভালোবাসাকে স্যাক্রিফাইস করেছে শুধু সেক্রিফাইসই করে নি, সে নিজের বিয়ের আসরে নিজের মেজ বোন নীলুকে কনে সাজিয়ে নিজের প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিয়েছে তাও আবার নিজের প্রেমিককে কোন কিছু না জানিয়েই।

স্বাভাবিকভাবেই এই বিয়ের পর শৌর্য নীলুকে সবার সামনে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ঘরের ভেতরে চার দেয়ালের মধ্যে সে নীলু কে মেনে নিতে পারে না। কারণ তার পক্ষে রাইকে ভোলা অসম্ভব- এই কথা সে স্পষ্টভাবেই নীলুকে জানিয়ে দেয়। নীলু রাগ সরাসরি গিয়ে পড়ে রাইয়ের উপর আর এই সময় থেকেই দর্শকরা নীলু ভার্সেস রাই করে ঝগড়া করতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন : অনুরাগের ছোঁয়াতে দুই বছর সূর্যদীপার আলাদা থাকা, মিশকার স্পাম চুরি, ইগো ইগো ঝগড়া ছাড়া আর কী দেখিয়েছে?-অনুরাগের ছোঁয়া নিয়ে বিরক্ত দর্শক!

কিছুজন মানুষ একতরফাভাবে নীলুকে দোষ দিতে থাকে, তাদের বক্তব্য, নীলুর বেরিয়ে যাওয়া উচিত, সে অত্যাধিক বাড়াবাড়ি করছে। কিছু মানুষের আবার বক্তব্য, রাইয়ের দোষ, তাদের ভালোবাসা যখন এত গভীর তখন নিজেদের ভালবাসার মাঝখানে বোনকে ঢোকানো উচিত হয় নি! বিয়ে সেই সময় করা না গেলেও শৌর্যকে ডেকে বুঝিয়ে বলা যেতে পারতো, বিয়েটা সেই মুহূর্তে আটকানো যেতে পারতো।

অন্যদিকে অনেকে বলছেন রাই শৌর্য দুজনই দোষী। শৌর্য নীলুকে রেখে দিয়েছে আবার রা‌ইকে ভুলতে পারছে না, আর রাই এতই যখন তার প্রেমিকের প্রতি ভালোবাসা তখন নীলুর জীবনটা নষ্ট করার কোন মানে ছিল না!

অনেকে আবার বলছেন নীলুও তো অন্ধ নয় সে জেনেশুনে কেন দুজনের মাঝখানে ঢুকলো! সে বলতেই পারতো তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়! একজন লিখেছেন যে,“আসল দোষী হলো রাই আর শৌর্য রাই মহান সেজে জোর করে বোনের বিয়ে দিয়ে বোনের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে এখন বোনের বরের সাথে কল্পনায় জল্পনায় ডুবে আছে আর শৌর্য ছেলেটা নীলু ডিভোর্স চাইলেও ডিভোর্স দিচ্ছে না

ছেলেটা চাইছে কী?না দিচ্ছে ডিভোর্স না দিচ্ছে স্ত্রীর ভালোবাসা।চাইলে তো সব অতীত ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করতে পারে আর এটাও যদি না পারে নীলুকে ডিভোর্স দিক শুধু শুধু নীলুর জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে পাগল ছেলে ফালতু সিরিয়াল বন্ধ করে দিলে ভালো হবে”

এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অন্য একজন কমেন্ট করেছেন যে,“নীলুর উচিত শৌর্যকে ছেড়ে দেওয়া। কে কখন ডিভোর্স দেবে, না দেবে, নীলুই বা এত ন্যাকামো অপেক্ষা করছে কেন? দেখতে পাচ্ছে না, নীলুর শৌর্যদা আর নীলুর দিদি রাইয়ের একে অপরের এত গভীর ভালোবাসা। এইক্ষেত্রে নীলুর উচিত নীলুরই এই পরিস্থিতি ছেড়ে চলে যাওয়া।

আরও পড়ুন : কিঞ্জলের মৃত্যুতে শ্যামলী কাঠগড়ায়! কোর্টে কী হবে বিচার? কোন গোপনে তে নতুন মোড়!

কে কখন ডিভোর্স পেপার পাঠাবে, কেন নীলু নিজে ডিভোর্স পেপার দিয়ে শৌর্যদা কে ডিভোর্স দিতে পারছে না??? ন্যাকা নাকি নীলু? খুব ভালো করেই নীলু জানত, শৌর্যদার আর রাইয়ের গভীর ভালোবাসা। আর এখন তো উপলব্ধি করছে, রাই শৌর্যর গভীর ভালোবাসা।”

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh