শক্তিশালী সাইড কাস্ট না হওয়ার জন্যই নবাব নন্দিনী ডুবতে বসেছে! নবাব নন্দিনীর সাইড কাস্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হলো সোশ্যাল মিডিয়ায়!
যে কোনো ধারাবাহিকে নায়ক নায়িকার পাশাপাশি অন্যান্য চরিত্রগুলো ভীষণ ইম্পরট্যান্ট। একটা ধারাবাহিক নায়ক-নায়িকার জন্যই শুধু মানুষ দেখে না, তার পাশাপাশি অন্যান্য চরিত্রগুলো যেমন হিরো হিরোইনের মা, বাবা, দাদু ঠাকুমা, ভাই, বোন, জা,ননদ, ভাসুর,দেওর এই চরিত্রগুলোও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা ধারাবাহিকের আকর্ষণ দীর্ঘকালীন বজায় রাখতে নায়ক নায়িকার স্ক্রিন প্রেজেন্ট এর পাশাপাশি অন্যান্য চরিত্রগুলোকেও সময় দেওয়া হয়, ধারাবাহিকের মেন আকর্ষণ নায়ক-নায়িকা কিন্তু সেই আকর্ষণকে ফুটিয়ে তোলার জন্য অন্যান্য চরিত্রগুলো সমানভাবে কাজ করে যায়।
এই কারণে যে কোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে নায়ক-নায়িকার পাশাপাশি সাইড চরিত্রে কারা কারা অভিনয় করছেন সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার! আবার কিছু কিছু মানুষ মনে করেন সাইড কাস্টিং এ যদি সব মুখই অপরিচিত হয় তাহলে সেই ধারাবাহিক মানুষ দেখেন না। দর্শকদের একাংশের মতামত, কোন ধারাবাহিকে নায়ক-নায়িকা এবং সাইড কাস্টিং এ পরিচিত মুখের পাশাপাশি দু একটা নতুন মুখ এলে ক্ষতি নেই কিন্তু যদি সব মুখই নতুন হয় তাহলে দর্শকদের দেখতে একটু কেমন লাগে।
‘নবাব নন্দিনী’ ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পর থেকে সাইড কাস্টিং এ এত নতুন মুখ দেখে কিছু মানুষ বলতে শুরু করেছিলেন এইবার দীর্ঘদিন পর নবাব নন্দিনী টিআরপি না পাওয়াই সেই মানুষগুলো আবার বলতে শুরু করেছেন সাইড কাস্টিং নিয়ে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন একজন নেটিজেন লিখেছেন, “দর্শক শক্তিশালী সাইড কাস্ট না থাকলে ঐ সিরিয়াল দেখতে বেশি পছন্দ করে না Fact. বৌমা একঘর ও নবাব নন্দিনী”- একজন আবার এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন,“শক্তিশালী সাইড কাস্ট থাকলেই চলে নাকি?মন ফাগুন,এক্কাদোক্কা, দেশের মাটি ফ্যাক্ট?” এর উত্তরে পোস্টদাতা আবার লিখেছেন,“ মানে সাইড কাস্ট ভালো হলে গল্প মোটামুটি ভালো হলেই দেখতে ভালো লাগে আর খারাপ হলে গল্প ভালো হলেও ডাবিং সিরিয়াল এর মত লাগে। দু-একজন নতুন আনলে সমস্যা নেই। কিন্তু সবাই নতুন হলে অসুবিধা।” আর একজন আবার পোস্ট দেয় তার বক্তব্যকে সমর্থন করে লিখেছেন “শক্তিশালী সাইড কাস্ট মানেই ফেম এটা নরম্যাল। টেন্টের সাইড কাস্ট কিন্তু বিরাট পপুলার”