‘এমন তুঘলকি শাসন কোনো শ্বশুর বাড়িতে আজ চলে না!’-সামান্য মাংসের দাম নিয়ে পর্নাকে সবার সামনে হেনস্থা করা দেখে বিরক্ত নেটিজেনরা!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, পর্নার ছোট থেকে স্বপ্ন ছিলো যৌথ পরিবারে বিয়ে করার, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় যখন সৃজনের ঠাকুমা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। যদিও এই বিয়ের প্রস্তাবে প্রথম থেকে আপত্তি ছিল পর্নার মায়ের, কারণ পর্নার মায়ের বক্তব্য ছিল যে পর্না যৌথ পরিবারে এডজাস্ট করতে পারবে না আর জীবনটা গল্পের মত সুন্দর হয় না। তাই তিনি পর্নাকে বাস্তবোচিত কথা বলে বোঝাবার চেষ্টা করেন কিন্তু পর্না সেটা বুঝতে পারে না বিয়ের আগে। বিয়ের পর সে দেখতে পায় যে,তার স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।
পর্নার মায়ের সবেতেই সমস্যা,ছেলে বৌয়ের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বললেও সমস্যা ছেলে বৌয়ের সাথে ছবি তুললেও সমস্যা, ছেলে বউয়ের সাথে কোথাও বাইরে ঘুরতে গেলেও সমস্যা। সবেতেই তার মনে হয়, ছেলে যেন তার ‘পর’ হয়ে গেলো। এরপর দেখা যায় যে, ধারাবাহিকে পর্না বাড়ির সবাইকে হৈ হুল্লোড়ে করে তুলবার জন্য বাড়িতে একটা পিকনিকের আয়োজন করে।
পিকনিকে অংশগ্রহণ করবার জন্য সবাই ৫০ টাকা দিয়েছে কিন্তু তাতে খাসির মাংসের টাকা উঠে নি, খাসির মাংসের অত টাকা দাম দিতে সবাই নারাজ। সৃজনকে পর্না টাকা চায়, কিন্তু সৃজন দিতে রাজি হয় না। তখন পর্না নিজের বাবাকে বলে,সেই টাকা দিতে। তারপর খাসির মাংসের বাকি টাকাটা পর্নার বাবা দেয়।
এরপর খাওয়া শুরু করার আগে পর্না কে পর্নার শাশুড়ি,জা সবাই মিলে জিজ্ঞেস করতে শুরু করে যে, খাসির মাংসের টাকাটা সে কোথা থেকে পেলো?সে কি কোনো গয়না বিক্রি করে সেই টাকাটা যোগাড় করেছে?-এর উত্তরটা পর্না দিতে চায় না কারণ সবার সামনে সে সবটা বলতে চায় না, সে চায় সৃজনকে আলাদাভাবে বলতে, কিন্তু সৃজন থেকে সৃজনের মা ,জেঠু সেখানেই পর্নাকে জিজ্ঞাসা শুরু করে দেয়। যা দেখে সবাই বলছে এমন তুঘলকি শাসন আজকালকার দিনে কোন শ্বশুরবাড়িতে দেখা যায় না!