‘এটা ২০২৩ সাল রাইটার বোধহয় ভুলে গেছে’! আবার বিতর্কে নিম ফুলের মধু, মাংস কেনার জন্য গয়না বেঁচেছে পর্না অপবাদ দিতেই ক্ষেপে উঠল দর্শক, বাস্তব কিছু দেখান তাহলে লোকের ভালো লাগবে, ফালতু নাটক!
শুরুর পর থেকেই জি বাংলার(Zee Bangla) নিম ফুলের মধু(Nim Phuler Modhu) আলোচনা সমালোচনা সব দিক দিয়েই দর্শকদের পছন্দের চর্চার বিষয়। এক পুরনো সেকেলে ধ্যান ধারণার পরিবারে বিয়ে হয় আধুনিক পরিবারের মেয়ে পর্নার। সৃজনের সঙ্গে তার সম্পর্কে সমঝোতা থাকলেও তার শ্বশুরবাড়ি মোটেই ভালোভাবে মেনে নেয়নি তাকে। বরং নানা আছিলায় কিভাবে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায় সেই ছুত খুঁজতে থাকে।
বিশেষ করে সৃজনের মা কৃষ্ণা দর্শকদের এতটাই বিরক্তের এক চরিত্রে পরিণত হয়েছে যে পর্দায় তার উপস্থিতি হলেই মুড বিগড়ে যাচ্ছে তাদের। বিশেষ করে তার কথার ধরন পর্না তো বটেই দর্শকদেরও গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে।
যারা এই ধারাবাহিকের প্রত্যেক দিনের দর্শক তারা জানেন সম্প্রতি নিম ফুলের মধুতে একটি বিশেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে। যেখানে মাংসের টাকা কোথা থেকে এলো সেই প্রশ্ন ঘিরে ধরেছে পর্নাকে। যেখানে তার শাশুড়ি সবার সামনে প্রশ্ন করছে মাংসের টাকা সে কোথা থেকে পেয়েছে। শুধু তাই নয়, তার উপরে এমন দোষারোপ দেওয়া হয় যে সে মাংস কেনার জন্য নিজের গয়না বেঁচেছে। তাই তার গয়নার বাক্স খুঁজে দেখা হবে কোন গয়না বেচে সে মাংসের টাকা যোগাড় করেছে।
যদিও এই সময় পাশে দাঁড়ায় সৃজন। সে জানায় পর্নাই জানাবে টাকা কোথা থেকে জোগাড় করেছে গয়নার বাক্স দেখার প্রয়োজন নেই। কিন্তু সবার সামনে পর্না জানাতে পারেনা সে তার বাবার থেকে টাকা নিয়েছে মাংস কেনার। আর এই সামান্য ব্যাপার এত বিরাট করে দেখানোতে ক্ষেপে গিয়েছেন দর্শক। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন ধারাবাহিকের বাস্তবতা নিয়ে। অনেকের প্রশ্ন যিনি এই গল্পের লেখক তিনি কি ভুলে গেছেন এটা ২০২৩ সাল। এই যুগে দাঁড়িয়ে কিভাবে এত অবাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয় সমাজের বুকে। এসব দেখে লোকেই বা কি শিখবে।
একের পর এক দর্শক ক্ষোভ উপড়ে দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media)। একেক জনতো ধারাবাহিক বন্ধের দাবি পর্যন্ত তুলেছেন। তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিক কারণে সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে ধারাবাহিককে। বিশেষ করে এত প্রাচীন পন্থী গল্প এই যুগে দাঁড়িয়ে দেখানোর কারণে বিরক্ত দর্শক।