লোকসভা নির্বাচনের আগে আদালতের একই নির্দেশ? ফের বড়সড় ধাক্কা খেলেন টিএমসি সাংসদ
আবারো সংবাদ শিরোনামে ফ্ল্যাট প্রতারণা কান্ড। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলা নিয়ে আবারো আদালতে বড়সড় ধাক্কা নুসরতের। আদালতের কাছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তিনি সশরীরে আদালতে আসতে পারবেন না। তাই আইনজীবির মাধ্যমে নথিপত্র পাঠিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যেই সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থার সঙ্গে ফ্ল্যাট কেনার চুক্তি হয় বেশ কয়েকজনের। ওই সংস্থার তৎকালীন ডিরেক্টর ছিলেন বর্তমান তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। ২০১৪ সালে হওয়া সেই চুক্তিতে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা কেনার জন্য ওই সংস্থার হাতে তুলে দেন ৪২৯ জন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ফ্ল্যাট মেলেনি।
আরও পড়ুন : “কাকু-কাকিমাদের ঘৃণা করি’”, গুরুজনদের প্রতি হঠাৎ বিরক্তি প্রকাশ ইমনের!
এরপর প্রায় ২৪ কোটি টাকা সংস্থার ডিরেক্টর দের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। নুসরত নাকি ঐ সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। অবশেষে উপায় না পেয়ে প্রচারিত বিনিয়োগকারীরা কোর্টের দ্বারস্থ হন। পুলিশী তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর ‘প্রতারিত’রা বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে গিয়ে নুসরতের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেন।
তারপরের দিনই কিছুক্ষণের জন্য সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জানিয়ে দেন, তিনি সেই সময় ঐ সংস্থার ডিরেক্টর থাকলেও পাঁচ বছর আগে সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণের টাকা সুদ সহ ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেন নুসরত। তবে তাতে কিছু লাভ হয়নি। সেই মামলাতেই এবার আদালতের কাছে বড়সড় ধাক্কা খেলেন তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহান। শুধুমাত্র নথি পাঠালে হবে না, তাঁকে সশরীরে এসে হাজিরা দিতে হবে আদালতে।