‘প্রযোজক ধরে আনতে পারি না বলে ছবিতে কাজ পাই না’, নারী দিবসের দিন টলিউডের নোংরা সত্যির কথা তুলে ধরলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দোপাধ্যায়
গতকাল ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস এই দিনে প্রতিটি নারী নিজেদের উপযুক্ত কাজের জন্য যোগ্য সম্মান পেয়ে থাকেন আর এইদিন নারী দিবস উদযাপন করতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি একটা দিন কি নারী দিবস হিসেবে মানতে নারাজ টলিউডের তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না যত গুরুত্ব বাংলা সিরিয়ালে দেখানো হয় তবুও সেখানে নারীর সঙ্গে পুরুষের অথবা এক নারীর সঙ্গে অন্য আরেক নারীর দ্বন্দ্বের গল্প তুলে ধরা হয়।
সেই বিশেষ অনুষ্ঠানে কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাক্ষাৎকারে জানান “সিরিয়াল মানেই তো মেয়েরা, অন্তত একটা জায়গা তো মেয়েদের জন্য রয়েছে। সিনেমাতে তো মেয়েদের জায়গা নেই। বলিউডে থাকলেও টলিউডে একমাত্র যে অভিনেত্রীরা বাইরে থেকে প্রযোজক ধরে আনতে পারেন শুধুমাত্র তারাই ছবিতে সুযোগ পান। যারা পারেন না, তারা ভালো অভিনেত্রী হলেও দিনের পর দিন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে যেতে হয় তাদের।
আমার ক্ষেত্রেও এই একই ঘটনা ঘটেছে। এতে আমার কোন রাগ নেই, কারণ আমি জানি আমি প্রডিউসার ধরে আনতে পারি না। নেটফ্লিক্স অ্যামাজন দেখলে বোঝা যায় মেয়েদের নিয়ে এখন কত কাজ হচ্ছে। বয়সটা এখন কোনও ম্যাটার করে না। মা দুর্গাকে দেখে আমরা বয়স দেখে পুজো করি? বাবাদের মায়েদের বয়স হয়ে গেলে কি তারা আমাদের কাছে ফালতু হয়ে যান? কখনোই না।”
তাহলে এখনো কেন ধরে না হয় যে একটি মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া বাচ্চা হয়ে যাওয়া মানে শেয়ার অভিনেত্রী হওয়ার যোগ্য নয়? এই জায়গাটার বিশেষ পরিবর্তন আনতে হবে বাংলা এবং হিন্দি সিনেমায় মেয়েদের গুরুত্ব বোঝাতে হবে। এখনো অনেক কিছু দেখানো বাকি রয়ে গিয়েছে একটি মেয়ের হাত ধরে পুরো একটি সমাজ দুনিয়া সময় পাল্টে যেতে পারে সেটা বিশ্বাস রাখা উচিত। বর্তমানে কণিকাকে টলিউডের পর্দায় আর দেখা যায় না তিনি স্টার জলসার আয় তবে সহচরী ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন এখন। একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কেনো জায়গা নেই টলিউডে? ক্ষোভ না থাকলেও একটা আক্ষেপ তো রয়েছে। সেটাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সকলের সামনে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।