স্ত্রীর হাতে তৈরি কাতলা মাছের ভাপা খেয়ে কী অবস্থা হয়েছিল পদ্ম পলাশের! দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনা ব্যানার্জীর সামনে কবুল করলেন সেই অবস্থার কথা!
জি বাংলা সারেগামাপার মঞ্চে সপ্তাহখানেক আগেই বিজয়ী হয়েছেন পদ্ম পলাশ হালদার। অস্মিতা করের সাথে যৌথভাবে জয়ী হয়েছেন পদ্ম পলাশ। জয়ী হওয়ার পর দুজনেই ৭ লাখ টাকার চেক, একটা করে সোনার নেকলেস, ও বিলাসবহুল একটি গাড়ি পেয়েছেন। লক্ষীকান্তপুরের এই ছেলে কীর্তন গেয়ে মাতিয়ে রেখেছিল সকলকে, জয়ী হওয়ার পরে পদ্ম পলাশ তাই বলেন,“ আমি খুবই আনন্দিত আমি লক্ষীকান্তপুরের খুব সাধারণ এক কীর্তন ঘরের ছেলে। সাধারণ কীর্তন গাইতাম। জি সারেগামাপা আমাকে যে সুযোগ দিয়েছে তার জন্য আমি গর্বিত এবং খুবই আনন্দিত। কীর্তন গানের জয় হোক এটাই চাইবো। সব বিচারকরা আমাকে এত আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা দিয়েছেন তার জন্য আমি খুবই কৃতজ্ঞ। এটা জীবনের বিরাট বড় পাওনা”
গত শুক্রবার ইমন চক্রবর্তীর বসন্ত উৎসব পদ্ম পলাশ পারফর্ম করেন। নিজের কীর্তনের সুরে মুগ্ধ করে দেন সকলকে। একই সাথে পদ্ম পলাশ কীর্তন সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, আমি বাংলার ঐতিহ্য কীর্তন কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। মানুষের কাছে কীর্তন যেন প্রচার পায় তার চেষ্টা আমি করব। প্লেব্যাকের সুযোগ এলে যদি সুন্দর কথা ও সুর হয় তবে নিশ্চয়ই গাইবো। বাংলা মৌলিক গান করবারও ইচ্ছে রয়েছে”
সম্প্রতি সস্ত্রীক একটি জনপ্রিয় রিয়েলিটির শো তে আসছেন গায়ক। আগামী রবিবার জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে আসছেন পদ্ম পলাশ হালদার। পদ্ম পলাশের স্ত্রী রুনু হালদার দিদির মঞ্চে এসে রচনা ব্যানার্জি কে বলেন, হয়তো কোনো একটা রান্না করে নিয়ে গেলাম যে ও একটু চেক করে বলবে কিন্তু ও কিছুতেই সেটা বলে না। এটা কেন বলেন না এর উত্তরে পদ্ম পলাশ বলেন, ‘আসলে ও একবার কাতলা মাছের একটা ভাপা বানিয়েছিল সেটা খাওয়ার পর ওই খাবার টার প্রতি শ্রদ্ধায় উঠে গেছে’-এই কথাটা শুনে ভীষণভাবে হাসতে থাকেন রচনা ব্যানার্জী, একই সাথে অন্যান্য প্রতিযোগীরাও এই কথা শুনে হাসতে থাকেন।