‘শ্বশুর বাড়িতে বর পাশে না থাকায়, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পর্নার চরিত্রটিকে সার্থক করে তুলেছে পল্লবী শর্মা’! অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেন
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকের সৃজন পর্নার গল্পের মধ্য দিয়ে বর্তমানের অনেক সমস্যার হদিশ পাওয়া যায়। যৌথ পরিবারের নানান রকম সমস্যা, ছেলের বিয়ে দেওয়ার পরে মায়েদের মনস্তত্ত্ব ইত্যাদি এই ধারাবাহিকের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছিল যে, পর্নার শ্বশুরবাড়িতে একটি পুজো হয় আর সেই পূজোর পরে একটি স্ত্রী আচার হয়, যেটা করতে পনা বাধা দেয়, কিন্তু শ্বশুরবাড়ির কোন মানুষ এমনকি তার স্বামী ও তার পাশে দাঁড়ায় না, শেষে পর্নার পাশে দাঁড়ায় তার ঠাম্মি শাশুড়ি।
দত্ত বাড়িতে সন্তানের মঙ্গল কামনায় পুজো হচ্ছে, এই পুজোর পর একটি স্ত্রী আচার আছে যেটি করলে পুরোহিত বলে দেবে যে নব দম্পতির ছেলে হবে না মেয়ে হবে, পর্না এইরকম একটি আচার পালন করবে না বলে সে ঘরে চলে যায়, এরপর সৃজন পর্নার হাত ধরে টানতে টানতে তাকে নিয়ে আসে আর সেই স্ত্রী আচারটা তাকে পালন করতে বলে। তখন পর্নার ঠাম্মি শাশুড়ি বলে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কিছু করা হবে না।
পর্না তখন বলে, ছেলে হোক বা মেয়ে তাতে কি যায় আসে সে যদি জানত পুজোর পর এরকম একটা আচার হবে তাহলে সে কখনোই এটা করতে দিত না। ঠাম্মি তখন বলে, সত্যি তো ছেলে মেয়ের মধ্যে বিভেদ কিসের? মেয়ে হলে কি মা তাকে কম ভালবাসবে? সন্তান মঙ্গল কামনার পূজোয় এই আচারের কোন দরকার নেই।
এরপর পর্নার শাশুড়ি বলে, আমাদের সময় তো আপনার এটা মনে হয় নি যে, এই নিয়মটা ঠিক নয়। ঠাম্মি তখন পর্নার শাশুড়ি কে বলে, কারণ তোমরা কেউ আমার চোখ খুলে দাও নি, পর্না আমার চোখ খুলে দিয়েছে।
এরপর পর্না ঠাম্মীর কোলে মাথা রেখে কাঁদতে থাকে আর বলে, সৃজন তাকে এইভাবে বাড়ির লোকের সামনে অপমান করলো! যে মানুষ আলাদা সাবান তৈরীর সময় তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সেই আজ তার পাশে দাঁড়ালো না! – যা দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে, “শ্বশুরবাড়ি তে একটা মেয়ের পাশে যদি নিজের স্বামীই না থাকে তখন মেয়েটার কি অবস্থা হয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ “পর্ণা”
দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায়
পর্ণা চরিত্রে টা কে পল্লবী দি অন্যমাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে দিনদিন
#NeemPhulerModhu #ZeeBangla
Pallavi Sharma”