বাংলা সিরিয়াল

তিন্নির গলায় রক্ত তুলে ছাড়বে পর্না! বাড়ি থেকে জন্মের মত দূর করতে জব্বর প্ল্যান কষল সে, যুগ যুগ জিও ঠাম্মি

জি বাংলা(Zee Bangla)র অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু(Nim Phuler Modhu)। নতুন ধারাবাহিক হলেও যেভাবে দিনের পর দিন এই ধারাবাহিকের নিত্যনতুন টুইস্ট আসছে তাতে দর্শক অল্পদিনেই ভক্ত হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকের। বিশেষ করে ধারাবাহিকের নায়িকা একটুও ঝিমোনো কিংবা অন্যায় মুখ বুজে মেনে নেবার পাত্রী নয়। ভুল ঠিক কিভাবে বিচার করতে হয় তার টনটনে জ্ঞান রয়েছে। আর এই কারণেই ধারাবাহিকটা দর্শকদের এত প্রিয়।

ধারাবাহিকে মূল ভূমিকায় অভিনয় করছেন পল্লবী শর্মা(Pallavi Sharma) এবং রুবেল দাস(Rubel Das)। এর আগে পল্লবীকে ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল জবা হিসেবে। সেখানে এক প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবেই ছিল সে। তবে এখানে পর্নার প্রতিবাদের ধরনটা বেশ মজাদার। তাই আরো বেশি করে দর্শক ভালবেসে ফেলেছেন তাকে।

যারা এই ধারাবাহিকে নিয়মিত দর্শক তারা জানেন এই মুহূর্তে পর্না এবং সৃজনের মধ্যে একটু মনোমালিন্য চলছে। আর তাতে আরও বেশি করে ঘি দিচ্ছে সৃজনের মা, বড় বৌদি এবং তার বোন তিন্নি। এই তিন্নির সঙ্গে আবার সৃজনের বিয়ের কথা ঠিক হলেও ঠাম্মি রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তা হয় না। কারণ ঠাম্মির শুরু থেকেই পছন্দ ছিল পর্নাকে। তাই সেই কারণে পর্নার উপর মারাত্মক রাগ তিন্নি। সে চাইছে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লাগিয়ে তাদের মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে। সেই সাথে পর্নাকে ঘর থেকে বার করতে।

এইজন্য কমলালেবু রস চোখে পড়ে সে অন্ধ হয়ে গেছে এমন নাটকও করেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত পর্নাই প্রমাণ করে দিয়েছে সে সম্পূর্ণ নাটক করছিল তার চোখ একদম ঠিক আছে। কিন্তু সেই নিয়ে আবার সৃজন পর্নার মাঝে ঝামেলা হয়। এবং ভুল বোঝাবুঝি এতটাই হয় যে পর্না শেষ পর্যন্ত বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্তু এখানেও সহায় হয়েছে ঠাম্মি। সে বোঝায় শুটিংকে বাড়ি থেকে উপড়ে ফেলতে সতীন কাঁটা ব্রত পালন করতে। তাহলেই সমস্ত সমস্যা মিটবে।

প্রসঙ্গত এই পুরো ঘটনাটাই একটা সাজানো ঘটনা। যার পুরো পরিকল্পনা করেছেন ঠাম্মি এবং তার প্রিয় নাতবউ। ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যেতে চলেছে পর্না বাড়ির উঠোনের মধ্যে ব্রত পালন করতে ব্যস্ত। তিন্নির অবয়বে একটি মূর্তি দাঁড় করিয়েছে সে। এবং পুরোহিত তাকে বলছে একটি বিশেষ টিকা সবার কপালে লাগিয়ে দিতে। যে সতীন তার গলা দিয়ে রক্ত উঠে মরে যাবে সে। এই ঘটনার তিন্নি শোনা মাত্রই লাফাতে শুরু করেছে সে। ভাবতে থাকে সে যদি মরে যায় তাই তার আগেই তার বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তিন্নিকে দূর করতে পারে পর না নাকি আবার অন্য কোন প্ল্যান করতে হয় তাকে। তবে দর্শকরা পুরোপুরি ভরসা রাখছেন তাদের প্রিয় নায়িকার ওপর। এখন দেখার কতদিনে তিন্নি ‘সতীন কাঁটা’ দূর হয়।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mithai prem (@mithailoves)

Back to top button

Ad Blocker Detected!

Refresh