“বিয়ের পর বউরা শ্বশুরবাড়িতে এত অপমান সহ্য করে থাকে কেন?” পর্ণার এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন দর্শকেরা, আর ক্ষেপেছেন সৃজনের ওপর
টিভি সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রীর মুখ্য অভিনেতার সাথে বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে এসে কখনোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করে না। থাকে নানারকমের চ্যালেঞ্জ, সে চ্যালেঞ্জ বাইরের কোনো শত্রুর থেকেই হোক কিংবা ঘরের, শত্রু তো থাকবেই। তবে জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের পর্ণার দেখেশুনে অর্থাৎ অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হওয়ার পর তার শ্বশুরবাড়িতে কাটানো সময়ে ধরা দিয়েছে বাস্তব।
বাঙালি বাড়ির অনেক বউরাই মিল খুঁজে পেয়ে পর্ণা আর তার শ্বাশুড়ী কৃষ্ণার মধ্যে। কৃষ্ণার ভয় আধুনিকা গৃহবধূ পর্ণা তার আদরের বাবু সৃজনকে তার থেকে কেড়ে নেবে। বিয়ের প্রথম কয়েকদিন সৃজন ছিলও মায়ের প্রতি অন্ধভক্ত। পর্ণার নামে যা সব ভুল সৃজনকে বলত তার মা সেগুলো সে বিশ্বাস করে নিত সহজেই। আর তখনই মিল পেয়েছে বাঙালি বউয়েরা। তবে কিছুদিন পর সৃজন পর্ণাকে ভালোবাসতে শুরু করেছিল, দেখানো হয়েছিল রোমান্টিক অনেক সিন।
তবে পর্ণা কাজে জয়েন করার পর থেকে এক কলিগকে নিয়ে সন্দেহ হয় সৃজনের। সৃজনের বারণ করা সত্ত্বেও অফিসের কলিগদের সাথে পর্ণা সুন্দরবনও ঘুরতে যায়। এই সুযোগেই সৃজনের বৌদিকে এক ভন্ড মাতঙ্গী মা সাজিয়ে আনে কৃষ্ণা, আর তিন্নির সাথে বিয়ে না হলে সৃজনের বিয়ে না হলে তার প্রাণনাশ হবে, এই কথা শুনে সৃজনও বিয়ের পিঁড়িতে বসে পরে তিন্নির সাথে।
পরে পর্ণাও এক সাধিকা সেজে এসে সেই বিয়ে সিঁদুর দানের আগেই আটকে দেয়। আর পরে পর্ণা সৃজনকে ক্ষমাও করে দেয় কারণ সৃজন তাকে বলেছে “আই এম সরি”। এখানেই রেগে বোম দর্শকেরা। তাঁরা জানায় পর্ণা স্বাধীনচেতা, স্পষ্টবাদী এক মেয়ে, তার স্বামী অন্য একজনকে বিয়ে করছে দেখেও সে সেখানে পরে রয়েছে কেন। তার তো উচিত সৃজনকে ছেড়ে চলে যাওয়া।
পর্ণার এই সিদ্ধান্তে হতাশ দর্শকমহল। আর কথা শুনতে হচ্ছে সৃজনকেও, তার যথাযথ কারণও রয়েছে, তাকে যে কেউ এসে অন্য একজনকে বিয়ে করতে বলল, আর সে বিয়ে করতে বসেও পড়ল। পর্ণাকে কিছু জানানোর প্রয়োজন বোধও করেনি সৃজন, সেখানেই মাথা আগুন হয়েছে দর্শকদের। এমন ধারা বর থেকে কে-ই-বা না চটবেন।