রাই এর মৃত্যুর জন্য অনিকে দায়ী করলো শাশুড়ি!আসলে কে দায়ী?অনি? নীলু না রাইয়ের নিজের মা?
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরাতে দেখা যায় যে, রাইয়ের বৌদি তার মেয়েকে স্কুল থেকে আনার পথে একটা মেয়েকে সুইসাইড করতে দেখে এবং সেটা বাড়িতে গিয়ে জানায়। এরপর সকলে মিলে পুলিশের থানায় যায় বডি সনাক্ত করতে কিন্তু রাইয়ের মা আর বৌদি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে বডি সনাক্ত করতে সেখানে যায় অনি আর স্রোত।
ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়া সেই মুখ দেখে স্রোত চিনতে পারে না যে এটা কে?! কিন্তু অনি সেটাকে রাইয়ের বলে কেঁদে ওঠে! এরপর স্রোত বলে যে সে, কিছুই বুঝতে পারছে না এই কারণে সে যে শাড়িটা পড়েছিল এই ভদ্রমহিলা, সেই শাড়িটা দেখতে চায়।
কিন্তু শাড়িটা দেখবার পর সে দিদিভাই বলে কেঁদে ওঠে কারণ রাই ঠিক সেই ধরনের শাড়ি পরে ছিল। ওদিকে নীলুর পুরো সত্যি শ্বশুর বাড়ির সকলের সামনে বলে দেয় শৌর্য। ধারাবাহিকের আগামী পর্বে দেখা যায় যে, শৌর্য রাইয়ের মৃত্যুর খবরটা পাওয়া মাত্রই বাড়িতে জানায়।
শৌর্য তার বাবাকে বলে যে, রাই সুইসাইড করেছে বাবা, সেটা শুনে সবাই চমকে যায়, নীলুর চোখ ছল ছল করে ওঠে। অন্যদিকে থানায় দাঁড়িয়ে রাইয়ের মৃত্যুর জন্য অনির্বাণকে দায়ী করতে থাকে রাইয়ের মা।
থানায় রাইয়ের মৃতদেহ দেখে অর্নিবান থেকে স্রোত, বৌমণি এবং রাইয়ের মা সবাই ভেঙে পড়ে,অর্নিবান তো ভীষণ ভেঙে পড়ে, অফিসাকেই তাকে সামলে রাখতে হয়। এমন সময় রাইয়ের মা বলে, অফিসার আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য এই দায়ী, এই ছেলেটা। এর জন্যই রাই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
অর্নিবান কাঁদতে কাঁদতে নিজের চশমাটা খোলে আর চোখের জলটা মুছে অবাক শাশুড়ি মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে অবাক দৃষ্টিতে। কিন্তু দর্শকরা বলেন যে, যদিও মৃতদেহটা রাইয়ের নয়,তবুও এই রাই এর মৃত্যুর জন্য আসলে কে দায়ী?অনি? নীলু না রাইয়ের নিজের মা?
