তবে কী এবার আহির-রঞ্জার বিয়ে? ফিরে আসছে ‘ইষ্টিকুটুম’-এর স্মৃতি, গল্পের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী পিলু ধারাবাহিক ফিরিয়ে আনছে বাহামণির স্মৃতি
জি বাংলার পর্দায় চলতি বছরের শুরুতেই শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক পিলু। ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শকমহলে বেশ ভালোই সাড়া ফেলে দিয়েছে। অনস্ক্রিন আহির ও পিলুর রসায়ন বেশ পছন্দ হচ্ছে দর্শকদেরও। তবে ধারাবাহিক যতই এগোচ্ছ তা ততই স্টার জলসায় বাহমণির স্মৃতি তাজা করে তুলছে।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী পিলু বাঁকুড়ার মেয়ে। সে গান গায় প্রাণ খুলে। আর ঘটনাচক্রে গান শেখার জন্য সে এসে উপস্থিত হয়েছে চন্দননগরের সুরমন্ডল নামের একটি বাড়িতে। সেখানকার গুরুজি আদিত্য নারায়ণই তার বাবা। তবে সেই কথা এখনো জানে না তারা কেউই। তবে আদিত্য নারায়ণের প্রিয় ছাত্র আহিরের কাছেই গানের তালিম নিচ্ছে পিলু।
সুরমন্ডলেই নিজের অন্য বউ ও মেয়ের সাথে থাকে আদিত্য নারায়ণ। গান শিখতে গিয়ে সেখানে চুরির অপবাদে অপমানিত হয়ে মা ও দাদুর কাছে ফিরে এসেছিল সে। আদিত্য নারায়ণ আহিরকে বলে সে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পিলুকে ফিরিয়ে আনে। গুরুজীর কথা মতো আহিরও ফিরিয়ে আনতে যায় পিলুকে। সেই সময় গ্রামে চলছিল টুসু উৎসব। আর সেখানেই ঘটনাচক্রে মালা বদল হয়ে যায় তাদের। হনুমানজির ইশারা অনুযায়ী মানতে শুরু করেছে তার গুরুজী অর্থাৎ আহির তার স্বামী। কিন্তু আহির সেটা মানে না। কোথাও গিয়ে পিলু ধারাবাহিকের এই গল্প বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকের কথা।
পিলু ধারাবাহিকে পিলু ও আহিরের অনস্ক্রিন রসায়ন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকে ওর্চি ও বাহার সেই পুরনো অনস্ক্রিন রসায়নকে। সেখানেও বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও অন্য পরিচয়ে সে শহরে এসে থাকতো। কিছুটা আলাদা হলেও গল্পের ধাঁচ একই মনে হচ্ছে দর্শকদের একাংশের। তবে সত্যিই ইষ্টিকুটুমের স্মৃতি এই ধারাবাহিক ফিরিয়ে আনছে কিনা? তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায় পিলু ধারাবাহিকের আগামী এপিসোডগুলির দিকে।
View this post on Instagram