‘জঘন্য বাজে মাছ বাজার থেকে আনে স্বামী জয়’, দাদাগীরির মঞ্চে এসে জানালেন জনপ্রিয় গায়িকা লোপামুদ্রা, পাশাপাশি সুন্দর বর থাকার সুবিধাগুলিও জানালেন
বাংলার Non-fiction রিয়েলিটি শো গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো জি বাংলার দাদাগিরি। আর বাংলার মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলীর জন্য এইসব জনপ্রিয়তার চরমে পৌঁছেছে দিন দিন। এটি দাদাগিরির নবমতম সিজন চলছে। যার মূল মন্ত্র হলো ‘দাদাগিরি সিজন ৯ হাত বাড়ালেই বন্ধু হয়।’ প্রতিবছরের মতো এবছরও বিভিন্ন জেলার হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এছাড়াও এবছরের দাদাগিরিতে কিছু নিয়ম অদল বদল হয়েছে কিন্তু জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। প্রতি সপ্তাহে শনি এবং রবিবার টেলিভিশনের পর্দায় এই শো সম্প্রচারিত হয় ঠিক রাত সাড়ে ন’টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত। রবিবার দাদাগীরির মঞ্চে উপস্থিত থাকে টেলিভিশন জগতের বিভিন্ন জনপ্রিয় মানুষেরা। তাই এই সপ্তাহের রবিবার উপস্থিত ছিল চারজন বেশ জনপ্রিয় দম্পতি তাদের মধ্যে অন্যতম হলো নুসরত এবং যশ, লোপামুদ্রা ও জয়, ওম ও মিমি এবং বাবুল সুপ্রিয় এবং তার স্ত্রী।
শো এর নিয়ম অনুযায়ী খেলার মাঝেই চলতে থাকে নানান ধরনের আড্ডা, গান ইত্যাদি। যেখানে জয়, লোপামুদ্রা এবং বাবুল সুপ্রিয়র মত বড় বড় গায়ক গায়িকা রয়েছে সেখানে গান হবে না সেটা তো হতে পারে না। তাই বসেছিল গানের আসর। মঞ্চে নানান ধরনের গল্পের মাঝে উঠে আসে লোপামুদ্রার শাড়ির বুটিকের ব্যবসার কথা। সৌরভ গাঙ্গুলী প্রত্যেককে জানান লোপামুদ্রার এই ব্যবসার কথা। শুধুমাত্র তাই নয় লোপামুদ্রার এই বুটিকের ব্যবসার অন্যতম মডেল হলেন তার স্বামী স্বয়ং জয়। আর এই কথা শুনে হঠাৎ জয় লোপামুদ্রার নামে নালিশ করে ওঠে তিনি বলেন যে একটা পয়সাও তাকে দেওয়া হয় না এই পরিশ্রমের জন্য। আর এই কথা শুনে মঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেকের হেসে লুটোপুটি খায়।
আর এর উত্তরে লোপামুদ্রা জানান তাহলে আর দেখতে সুন্দর বর রেখে লাভ কি যদি কাজে না আসে। আর এই কথাকে পূর্ণ সমর্থন জানান সৌরভ গাঙ্গুলী। এছাড়াও ভরা মঞ্চের জয় জানান যে তিনি লোপামুদ্রা কে কতটা ভয় পান। তার চিৎকার তিনি প্রচণ্ড আরষ্ঠ হয়ে থাকেন যদিও পুরোটাই মজার ছলে হয়েছে। কিন্তু তবুও এই খুনসুটি ভরা তাদের সংসারের গল্প প্রত্যেকে বেশ এনজয় করেছে।