যোগ্য মায়ের যোগ্য মেয়ে! মায়ের মতই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করে রুপা, প্রিন্সিপালের ছেলেকে ধরে পিটিয়েছে সে, রুপার প্রতিবাদীস্বত্বা দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগের ছোঁয়ার দর্শক
অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে শেখেনি দীপা। তার প্রমাণ আগেই বাংলা টেলিভিশনের দর্শক পেয়েছেন। আর এটাই অনুরাগের ছোঁয়া(Anuragwr Choya) ধারাবাহিকে তাই অন্যতম মূল আকর্ষণ দীপা। বর্তমানে এই ধারাবাহিককে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। বছরের শুরু থেকে টানা তিনবার রেকর্ড ভেঙেছে টিআরপি তালিকার। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি এই ধারাবাহিকের অনুরাগীরা।
তবে এই টিআরপি হবার পেছনে কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে আরো অনেকগুলি কারণ। যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জানেন দেখা যাচ্ছে রুপার স্কুলে খেলতে গিয়ে কিভাবে স্কুলের প্রিন্সিপালের ছেলের কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে সোনাকে।
সোনার তুতলে যাওয়া কথা শুনে হাসির খোরাক বানিয়েছে তাকে। আর ঠিক তখনই নিজের বোনকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সামনে। একেই হয়তো বলে রক্তের টান। স্বাভাবিকভাবে নিজের বোনের সাথে অন্যায় হতে দেখে মাথা ঠিক রাখতে পারেনি সে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করতে শুরু করে।
এদিন নিজের স্কুলের ছেলে মেয়েদের সাথে ঝগড়া করার পাশাপাশি স্কুলের প্রিন্সিপালের ছেলেকে আচ্ছা করে পিটিয়ে দিয়েছে সে। তার জন্য গার্জিয়ান কল করেছে স্কুল থেকে। দীপা সেখানে উপস্থিত হলে স্কুলের সমস্ত টিচার থেকে শুরু করে প্রিন্সিপাল সকলেই তাকে কথা শোনাতে শুরু করে। এমনকি হুমকি দেয় রুপার এমন আচরণের জন্য তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতেও মা হয়ে দীপা নিজের মেয়ের হাত ছাড়েনি। কারন সে জানে তার মেয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। এবং মা হয়ে সে গর্বিত। তাই দীপা জানায় হয়তো তার মেয়ের প্রতিবাদ করার ধরন ভুল ছিল কিন্তু আসলে সে ডাক্তারবাবুর মেয়েকে হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছে। এই কারণে এমন কাজ করেছে।
এই কথা শুনে প্রিন্সিপাল সহ স্কুলের সব টিচার দীপার প্রশংসা করে জানায় তার মেয়ে স্কুলে ফার্স্ট হয়েছে। পাশাপাশি প্রিন্সিপাল নিজের ছেলেকে রুপার কাছে সরি বলতে বলে।