শাশুড়িকে ভুল প্রমাণ করে ঘরে বাইরে সবটা সামলে দত্ত বাড়ির মান সম্মান রক্ষা করে পর্না, দেখুন ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের দুর্দান্ত এপিসোড
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো ‘নিম ফুলের মধু’। ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা এবং অভিনেতা রুবেল দাস। একটি একান্নবর্তী পরিবারের গল্প ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে। ধারাবাহিকে পল্লবীর চরিত্রের নাম পর্ণা এবং রুবেলের চরিত্রের নাম সৃজন। কি করে একজন নিউক্লিয়াস পরিবারের মেয়ে একান্নবর্তী পরিবারে এসে সব দিকটা সামলে গুছিয়ে সংসার করছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। শুরুর সময় থেকে এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে পর্নার শশুর বাড়ি লোকজন অত্যন্ত পুরনো মানসিকতার।
পুরনো ধ্যান-ধারণাই তাদের মনে পোষন করে রেখেছেন। তবে আধুনিক সমাজের মেয়ে পর্না আধুনিক চিন্তাধারার বেড়ে উঠেছে। বাড়িতেও তার সেরকমই পরিবেশে মানুষ হওয়া। তাই পুরনো অনেক অনিয়মী মানতে পারছে না সে। যেগুলি আদতেও সমাজের কোনদিনও ভালো হয়নি। তাই নিয়ে বাড়িতে রোজই অশান্তি চলে। পর্নার শাশুড়ি, বড় জা, বড় ভাসুর, জ্যাঠা শ্বশুর তাকে একেবারেই পছন্দ করেনা। পর্ণ যা করে তার বিরুদ্ধেই কথা বলেন এরা। অন্যদিকে পর্ণার নিজের ননদ, দেওর ঠাকুমা এবং জেঠিমা তার দলে। পর্নার স্বামী সৃজন কোন দলে যাবে বুঝতেই পারে না। সে আসলে মাকে খুব ভালোবাসে। মা যা বলে অক্ষরে অক্ষরে সেই কথায় পালন করে। সৃজন বরাবর সে তাই করে এসেছে তাই পর্ণার নিয়ম মানতে নারাজ।
অন্যদিকে পর্না আসার পরে দত্ত বাড়িতে অনেক নিয়ম কানুন পাল্টেছে। যেমন প্রথম দিন এসেই সে সবাইকে এক সাবানের স্নান করা থেকে আটকেছে এটা যে স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয় সেটা সকলকে বুঝিয়েছে। তারপরে আলাদা আলাদা সাবন ব্যবহার করার প্রথা শুরু হয়েছে দত্তবাড়িতে। অন্যদিকে সংসারের ভালোর জন্যই পর্না চাকরি করতে ছুটছেন যা একেবারেই পছন্দ নয় তার শাশুড়ি মা আর তাই তিনি বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু সৃজনের ঠাকুমা বরাবর নিজের নাত বৌমার পাশে রয়েছে তাই পর্ণা সেই নিয়ম ভেঙে ও চাকরি করতে যাচ্ছে। দত্তবাড়ি প্রথম বৌমা যে বাড়ির বাইরে গিয়ে চাকরি করছে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে দত্ত বাড়িতে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। কয়েক বছর পর আবারও নতুন করে পর্নার উদ্যোগে বাড়িতে সরস্বতী পূজো হচ্ছে। পুজোর সমস্ত দায়-দায়িত্ব নিজেই পর্না নিয়েছে। সকলেই হাতে হাত লাগিয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজনে মেতে উঠেছে। কিন্তু এর মধ্যে এসে পড়ে নতুন বিপদ। সরস্বতী পুজো তিনি হঠাৎ পর্নার অফিস থেকে জরুরী কল আসে। বর্তমানে সে একটি নিউজ চ্যানেলে কাজ করছে রিপোর্টার হিসেবে। আর সেখান থেকেই ফোন করে পর্নাকে নিউজ কভার করতে যেতে বলা হয়। অন্যদিকে পর্ণা শাশুড়ি ইচ্ছে করে শরীর খারাপের নাটক করে সমস্ত পুজোর ভোগ রান্নার দায়িত্ব তার উপর চাপিয়ে দেয়। আর এতেই হয় বিপদ। বাইরে ঘর কোন দিকটা সামলাবে পর্না। তাই ভেবে পায়না। তাই সে ঠিক করে বাইরের কাজ সেরে এসে অবশ্যই সেই ঘরের সব কাজ করবে। পুজোর ভোগ রান্না করবে দত্তবাড়ির মান সম্মান ধুলোয় মিশে যেতে দেবে না সে।
আর নিজেকে প্রমাণও করতে পেরেছে পর্ণা। অফিসের সমস্ত কাজ সেরে এসে বাড়িতে এসে পুজোর ভোগ রান্না করেছে সে। ঠাম্মার কথা মত গোলাপ খাস পোলাও, গয়না আলুর দম আর ফুলকপির বসন্ত বিলাস সবকিছুই নিজের হাতে রান্না করেছে। আর পর্নার এই সমস্ত কান্ড দেখি সকলেই অবাক হয়ে যায় আর। ঠাম্মা সকলকে জানিয়ে দেয় যে এই সমস্ত রান্না পর্না নিজের হাতে করেছে ঠাম্মা শুধু তাকে বলে দিয়েছে কিভাবে করতে হবে। আর এভাবেই পর্না শাশুড়িকে আরো একবার ব্যর্থ হয় পর্ণাকে বিপদে ফেলতে। আর নিজেকে ঠিক প্রমাণ করে দেয় সকলের সামনে।