‘আমার ২৮ বছরের ক্যারিয়ারে কেউ এমন দাগ লাগায় নি! প্রচারের জন্যই শুধুমাত্র আমার নামে কুৎসা করা হচ্ছে’ সঙ্ঘমিত্রা পুষ্পিতা বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়! সোহাগ জলের সেটে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি!
সদ্য জি বাংলার পর্দায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। এরই মধ্যে ধারাবাহিকের দুই সিনিয়র অভিনেত্রীর মধ্যে মেকআপ রুম নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিনেত্রী সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য এবং পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে মেকআপ রুম শেয়ার করা নিয়ে বিতর্ক ও বচসার সৃষ্টি হয়েছে, সংঘমিত্রার দাবি পুষ্পিতার জন্য তাকে মেকআপ রুম ছাড়তে হয়েছে, এই ঘটনাই এতটাই মানসিক আঘাত পেয়েছেন তিনি যে, সিরিয়াল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘমিত্রা জানান,“ প্রথম দু দিন টেম্পোরারি সেটে যখন কাজ হয় ও আর আমি একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। আমরা আড্ডাও মারি একসঙ্গে। তারপর যখন নারায়ণী স্টুডিয়োতে এলাম প্রথমদিন কাজে আমাকে একটা রুম দেওয়া হল, বলল পুস্পিতার সঙ্গেই আমি রুম শেয়ার করব। আমি তৈরি।
এমন সময় পুষ্পিতা এল। মেকআপ নিতেও ঢুকল। হঠাৎ দেখি একজন স্পটবয় এসে আমার ব্যাগপত্তর নিয়ে চলে যাচ্ছে। জানলাম আমাকে অন্য মেকআপ রুম দেওয়া হবে। পরে জানলাম পুষ্পিতা নাকি আমার সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করতে চায় নি। শুনেই চোখে জল চলে এসেছিল। মেয়েকে ফোন করে বলেছিলাম। ও তো শুনেই বলল তোমাকে আর কাজ করতে হবে না, বাড়ি চলে আসো।”
এই বিতর্কের মধ্যে পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় এতদিন নীরব ছিলেন, তিনি মুখ খোলেন নি। কিন্তু এই বচসার কথা বর্তমানে দর্শকমহলেও ছড়িয়ে পড়েছে তাই অবশেষে মুখ খুলে পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় বললেন,“ আমার আঠাশ বছরের ক্যারিয়ারে কেউ এমন দাগ লাগায় নি।”
কেন তিনি এমনটা করেছেন সেই কথা প্রসঙ্গে পুষ্পিতা জানান,“ আমার দু’বার করোনা হয়েছিল। ফুসফুসের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তার পর থেকেই আমি কোনও কাজ করার আগে প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে নিই আমার আলাদা মেক আপের ঘর লাগবে। পারিশ্রমিকের আগে আমি এই বিষয় নিয়েই কথা বলি। এ ক্ষেত্রেও আমি কুমকুমদির (সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য) সঙ্গে কোনও কথাই বলিনি। প্রযোজক সংস্থার এক সদস্যকে বলেছিলাম আলাদা ঘর হলে ভাল হয়। তখন তিনি কুমকুমদিকে অন্য একটি ঘর দেন। এর থেকে বেশি কিছু ঘটেনি। শুধু মাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য, ভিউ বাড়ার জন্য এমনটা ঘটছে।”
অভিনেত্রী আরো জানান যে, তার স্বামী দিল্লিতে চাকরি করেন তার বাবা ক্যান্সারের রোগী তার সাথে ছোট ছেলে থাকে তাই তার সুস্থ থাকাটা ভীষণভাবে জরুরী তবে এই ঘটনায় যেমন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি তেমনি ভীষণ আঘাতও পেয়েছেন।