মা কালীর প্রথম মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন কৃষ্ণানন্দ! কীভাবে মায়ের সাক্ষাৎ পান তিনি? শিহরন জাগানো বাংলার সেই গল্প এবার ফুটে উঠলো রামপ্রসাদ ধারাবাহিকে!-পর্ব দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো রামপ্রসাদ। এই ধারাবাহিকে শাক্ত পদাবলীর অন্যতম পদকর্তা রামপ্রসাদের জীবনী দেখানো হচ্ছে, এটা সেই সময়ের গল্প যখন মা কালীকে সকলে শ্মশানের দেবী ভাবতেন, সবার ধারণা ছিল মা কালীর আরাধনা করতে গেলে গৃহত্যাগ করতে হয়, সন্ন্যাস নিতে হয়, সেই সময় দাঁড়িয়ে রামপ্রসাদ মায়ের গান গেয়ে গেয়ে মাকে ঘরের দেবীতে পরিণত করেছিলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে সংসার করা পুরোদস্তুর এই সংসারী মানুষটি প্রমাণ করেছিলেন যে, মা কালী কে ডাকতে গেলে ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, সংসারে থেকেও তাকে পাওয়া যায়।
রামপ্রসাদের জীবনের এই গল্প দেখানোর জন্য ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের রামপ্রসাদের বিয়ে হয়েছে শিবানীর সাথে রামপ্রসাদ এবং শিবানীর দাম্পত্য জীবন দেখানো হচ্ছে। কিন্তু রামপ্রসাদের গল্প এলে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের গল্পও চলে আসে, যিনি প্রথম মায়ের মুখ থেকে সাকার রূপ দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন তন্ত্র শাস্ত্রের রচয়িতা সাধারণের কাছে তিনি মা কালীকে তুলে ধরেছিলেন। হ্যাঁ প্রথমে সাধারণের কাছে মায়ের কোন মূর্তি ছিল না পুজো করবার মতো কিন্তু তিনিই প্রথম মায়ের মূর্তি তৈরি করেছিলেন। তন্ত্রে আরাধ্যা দেবীকে ঘরের পূজিতা দেবী রূপে তুলে ধরতে তিনি নিয়েছিলেন প্রথম পদক্ষেপ।
কিন্তু কীভাবে মায়ের দর্শন পেয়েছিলেন তিনি? সেই পর্বই এখন দেখানো হচ্ছে রামপ্রসাদে। যে পর্ব দেখে মুগ্ধ দর্শক লিখেছেন, “বাংলায় কৃষ্ণানন্দের সেই শিহরন জাগানো কাহিনী যার কিছুটা আজ থেকে রামপ্রসাদে দেখানো হবে
সবাই দেখতে থাকুন #রামপ্রসাদ,প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬টায়, #স্টারজলসায়
সেই কাহিনীটি সবাই একটু কষ্ট করে পড়ে নিন
কৃষ্ণানন্দ মা কালীর রূপ কীভাবে পেলেন, এই নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে এক প্রচলিত শ্রুতি পাওয়া যায়। ক’দিন ধরেই পুজোয় বসে কালীসাধক কৃষ্ণানন্দ বায়না করেন,
“ এ বার সাকার রূপে দেখা দাও মা, মূর্তি গড়ে তোমার অর্চনা করি! ”
সন্তানের আকুতি মা ফেলতে পারলেন না। বিধান দিলেন, মহানিশার অবসানে প্রাতঃমুহূর্তে কৃষ্ণানন্দ প্রথম যে নারীমূর্তি দর্শন করবেন, সেই মূর্তিই হবে ইচ্ছাময়ীর যথার্থ সাকার মূর্তি। পরের দিন ভোরে গঙ্গাস্নানে বেরিয়ে কৃষ্ণানন্দ দেখলেন, এক দরিদ্র বধূ গাছের গুঁড়ির উপর নিবিষ্ট মনে ঘুঁটে দিচ্ছেন। বাঁ হাতে গোবরের মস্ত তাল, ডান হাত উঁচুতে তুলে ঘুঁটে দিচ্ছে। নিম্নবর্গীয় কন্যা, গাত্রবর্ণ কালো, বসন আলুথালু, পিঠে আলুলায়িত কুন্তল, কনুই দিয়ে কপালের ঘাম মুছতে গিয়ে সিঁদুর লেপ্টে গেছে। এ হেন অবস্থায় পরপুরুষ কৃষ্ণানন্দকে দেখে লজ্জায় জিভ কাটলেন সেই বধু।— এই ছবিটিই মানসপটে এঁকে গঙ্গামাটি নিয়ে মূর্তি গড়তে বসলেন কৃষ্ণানন্দ। কৃষ্ণানন্দের এই মূর্তিই পরবর্তীতে দুই বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠল।[৮](উইকি)
ছবিটি দিয়েছেন:- Chandrani Dey”